অন্য রকম
শাহানা সিরাজী
রাস্তায় নেমেই কেমন অচেনা অচেনা লাগলো!
এ রাস্তা
এ শহর
চিনি?
কখনো হেঁটেছি? কেউ সাথে ছিলো?
লোকারণ্যে একা একা লাগছিলো,খুব একা!
যানবাহনের চেঁচামিচিতে কানের পর্দা ফেটে পড়ার উপক্রম।
এই ভাই, যাবে? মাথা ঘুরিয়ে উত্তর দেয়,না,এত্তো গরম!
তার উপর জ্যাম!
খুব অসহায় লাগছিলো,সব কিছু ছায়া ছায়া
আবছা আবছা মুখগুলো উঁকি দেয়, পালায়।
হাঁটতে থাকি,হাঁটতেই হবে যে!
ঘেমে নেয়ে মেঘনার জলের মতো ছলাৎ ছলাৎ উৎসব,
সূর্য দ্বিগুণ উৎসাহে বিকরিত,
দু হাতে ফুটপাতের হকার,ভিক্ষুক,
সমবেত মানুষ সরিয়ে এগিয়ে যাই,
যেতেই হবে….
সবগলি যেন ভূতুড়ে হিস্যা বন্টনে ব্যস্ত!
সব মানুষ ছুটছে, কাঁধে ঝোলা,,হাতে ব্যাগ
ও মানুষ, ঝোলার ভেতর কী?
হোঁচট খেয়ে তাল হারাই,
হিপজয়েন্টের ব্যথা মাথা চাড়া দেয়
যেন জলপেয়ে জেগে উঠেছে ডাহুকের ছানা!
গন্তব্যহীন যাত্রায় কে হতে চায় সঙ্গী?
গ্রীষ্মের দাবদাহে কে এগিয়ে দেয় জল?
সামনে কোন পথ?
কোথায় তার শেষ?
এই এতো মানুষ, আমাকে চেনো?
কোথা যাচ্ছি বলতে পারো?
আকাশ জুড়ে কেবল সাদা সাদা মেঘের ঝাঁক
পাখিরা সব গেলো কোথায়?
এ অবগুণ্ঠিত সময় লজ্জা পেলো কি না জানি না
বললে,থামো থামো,
বাড়ানো হাত উপেক্ষা করো না।
অবাক হয়ে দেখলাম,খুব চেনা অথচ অচেনা
একটি হাত থামিয়ে দিলো,
আদ্র হাতের তালু,নখাগ্র,
ঝলসানো আয়োজন।
হাঁটতে থাকি
হাঁটতে হবে…