৷৷৷৷৷৷৷৷ দাদার দোকান৷৷৷৷৷ ৷৷
৷৷৷৷৷৷৷ ৷ মিনার মাহমুদ৷৷৷৷৷৷৷
সময়ের প্ররিক্রমায়,আবার এসেছি চট্টগ্রামে।
সেই চেনা পথ,সেই প্রিয় মানুষগুলো,
হয়ত আছে, হয়তবা নাই এখানে।
আজ গোধূলি বেলায় হাটতে বের হলাম,
প্রিয় সেই ওয়াপদা কলোনির পিচ ঢালা রাস্তা মাড়িয়ে,
পৌঁছে গেলাম প্রিয় সেই দাদার দোকানে।
নামটা জানি না তার,শুধু দাদা বলেই ডাকি,
কত স্মৃতি, কত হাস্যরঙ্গে কাটি ত রাত্রি।
স্বপ্ত সুরের ছন্দের মত, মোরা নয় জন সহপাঠী,
আড্ডায় মুখরিত হাসিতে লুট পুটি।
আকাশটা মুঠোফোনে যপত ভালবাসার খুনসুটি,
ইসমাঈল আরিফটা করত রিয়াল বার্সার তর্কগুটি।
মাসুমটা ছিল নির্বাক,মাঝে মধ্যে দু এক ফোঁটা বলতো,
তার মাঝে দোলনটা কবিতার লাইন শুধু ভাবতো।
ইমরানটা বাইক নিয়ে কেবলই ছুটাছুটি করতো,
হঠাৎ এসে এমন কিছু বলতো,
চোখের পানি, নাকের পানি অনবরত ঝরত।
আগে এসে নোমানটা সবাইকে ফোন করে ডাকত,
আর তার ঢাকা নিয়ে জানা অজানা গল্পটা শুধু বলত।
সাকিবটাও আজ নেই এখানে,
শুনেছি কুমিল্লা কোন ব্যাংকে চাকরিটা সে করতো।
তার মাঝে বিপ্লবের বিপ্লবি ভাব,
নেতা হবার সব গুন রাখতো।
এতগুলো বছর পেরিয়ে, স্মৃতিগুলো আঁখির কোনে
জলবিন্ধু হয়ে ঝরে যায়,
স্মৃতিতে বিচরণ, আবার পথ চলা শুরু হয়।
কত বছর পর দাদাকে দেখলাম
বয়স তার এখন পঞ্চাশ প্রায়,
চোখেতে ভাল দেখেনা
হাল ছাড়িল কাঁয়ায়।
আমি জিজ্ঞেস করলাম,দাদা তুমি কেমন আছো?
সে বললো, ভাল! এতদিন পর তুমি কোথা হতে এসেছো?
ঘরের সবাই কেমন আছে?
আছে, আছে গো দাদা,চলছে পাছেপাছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম সবাই কি আসে?
সে বললো, না গো তুমি যাওয়ার পর,
আর কারো দেখা মেলা ভার,
হয়ত ভূলেক্রমে দু একবার।
পরিচিত সবকিছু, আজ বড় অচেনা লাগে!
গাছ তলার গাছটাও আজ আর নেই,
দেখেছি সেখানে অট্টালিকা, মেঘ বেয়ে উঠে।
ক্ষানিকক্ষন পরে দাদাকে বললাম, যাই গো!
রাত্রী অনেক হল,কুশলে থেকো,
আবার দেখা হবে।
বিচলিত মন যেন আবার, নতুন বর্ষার পানির মত
জোয়ারে ভাসছে,
এবার হয়ত আবার কানায় কানায়
পূর্নহবে বন্ধুদের অঞ্জলীতে।
আশায় বসতি কবিতার পঙতিতে লিখছি!
বন্ধুরা মোর আয় রে আয়
মোদের প্রিয় অঞ্জলি পাড়ায়,
হাসিতে খেলিতে নেব বিদায়
দুঃখ সুখের তরঙ্গ ভেলায়।