বরিশাল থেকে প্রতিনিধি লুনা আহমেদ : “আমাদের লেখালেখি, বরিশাল” শিল্প ও সাহিত্যের একটি ছোট কাগজ যা এখনো প্লাটফরম হিসেবে গড়ে ওঠেনি। শুধু নামেই আত্মপ্রকাশ পেয়েছে।
কিন্তু সেই নাম নিয়েই “আমাদের লেখালেখি ” ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তবতায় পদার্পণ করে “দক্ষিণবাংলা গ্রন্থ উৎসব ২০১৮ ” শীর্ষক অনুষ্ঠান এর মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে দক্ষিণবাংলার সমগ্র কবি,লেখক, ঔপন্যাসিক, কথাসাহিত্যিক মোটকথা সাহিত্যের সেবক যাদের ২০১৮ সালে বই প্রকাশিত হয়েছে তাদের একটি মেলবন্ধন ও পরিচিত এবং সবশেষে সম্মাননার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি টানা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের পর সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ও ব্যতিক্রম “সাহিত্যে নিবেদিত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে “লেখালেখি সাহিত্য সম্মাননা-২০১৮” আয়োজন করা হয়।
এবং সে লক্ষ্যে আজ ৯ নভেম্বর রোজ শুক্রবার বিকেলে, বরিশাল নগরীর কর্মবীর আব্দুল খালেক পাঠাগার এর খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটার হলে বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলার পাঁচজন গুণী, প্রচার বিমুখ ও নিভৃতচারী প্রবীণ সাহিত্যিকদের লেখালেখির স্বীকৃতি স্বরুপ সাহিত্য সম্মাননা -২০১৮ প্রদান করা হয়।
“সাহিত্যে নিবেদিত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি” এই শ্লোগানের সম্মাননা পাওয়া লেখকরা হচ্ছেন –
১)বরিশালের কবি, নাট্যকার ও গীতিকার আব্দুল হাকিম,
২)ঝালকাঠির কবি ও সংগঠক সিকানদার কবীর, ৩)বরগুনার কবি ইদ্রিস আলী খান,
৪)পটুয়াখালীর কবি ও গীতিকার নির্মল কুমার দাশ গুপ্ত ও
৫)পিরোজপুরের মরমী কবি নাট্যকার শ্রীকুমার আচার্য্য।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কবি মাহামুদা খানম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি দুখু বাঙাল। অনুষ্ঠানটির আহবায়ক ছিলেন কবি শফিক আমিন। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ছোটন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন—কাজী সাইফুল, বরিশাল। মাহামুদা খানম, ঝালকাঠি, জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, মাসুদ আলম বাবুল, পটুয়াখালী। আব্দুস সালাম মিয়া, বরগুনা। অলোক মিত্র, মীম, ওমর ফারুক, পিরোজপুর। অর্ণব আশিক, সাব্বির আলম চৌধুরী, ভোলা। স্নিগ্ধ নীলিমা, স.ম. জসিম উদ্দিন, গৌরনদী।
সার্বিক সহযোগীতায় আরও ছিলেন কবি ইয়াসিন হীরা, সাঈদ পান্থ, আব্দুর রহমান, ইব্রাহিম খলীল, মাহমুদ অর্ক্য, হুজাইফা রহমান, রাকিব হাসান বাদল, তৌফিক ওমর, মিনতি রাণী দাশ, অনিতা পান্ডে, সাইফুল ইসলাম সাইফ, লুনা আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস শিশির প্রমুখ।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্প সাহিত্যের সাথে সংশ্লিষ্ট গুণিজনরা উপস্থিত হয়েছিলেন।