” ছোট্ট বেলা”
✍ রুনু ভট্টাচার্য
আমাদের সময়ের ছোট্ট বেলাটা খুব মজার ছিল,
ঘুম থেকে উঠেই চিন্তা ছিল স্কুল যাবো সব বান্ধবীরা মিলে এক সাথে সেটা ও ছিল মজার,
রোজ আমরা সবাই বাড়ির টিফিন নিয়ে আসতাম
আর স্কুলে যাবার পথে এক ঝুর ঝুরে পরঘড়ে
থুর থুরে বুড়ি ছিল ওনাকে জিগ্যেস করতাম
মাসী তুমি কি করছ উনি বলতেন পোসায় না।
রোজ এক ই কথা আর আমাদের ও রোজ কার রুটিন জিগ্যেস করবোই ,
তাই আমরা সবাই পোসায়না মাসী বলেই ডাকতাম আর সব টিফিন উনাকেই দিয়ে আসতাম,
তার পর মাথায় চিন্তা বাড়ি এসে খাবার খেয়ে খেলতে হবে যে আমি আর আমার বান্ধবীর প্রিয় খেলা ছিল পুতুল খেলা,
আমরা তখন ডুবে যেতাম খেলাতে মনে হতো আমাদের সংসার আছে,বাবা আমাকে প্রতি বছর ডল কিনে দিতেন,
পিনু রান্না করে সব কাজ সেরে নিত আর আমি ডলি কে নিয়ে বেস্ত।
সুধু কি পুতুল খেলা সব খেলাই খেলতাম তবে ভালো বাসতাম নাচ টা, শিখেছিলাম,
পাচ বছর বয়সে প্রথম নাচের গান ছিল,
ছোট্ট মেয়ে দুপুর বেলায়
পুতুল নিয়ে করতো খেলা
আজ কে যে তার
মেয়ের বিয়ের লগ্ন এসেছে।
এখন নেই সেই গান নেই সেই সহজ সরল মন,
সব সময়ে হারিয়ে গেছে এখন
আমি আমার ছোট্ট নাতি কে ছড়া শুনাই ও মন দিয়ে শুনে।
বাচ্চা দের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে
ওরা সহজ সরল মনের হয়।
আজ হারিয়ে গেছে জীবন থেকে ছোট বেলা।