ঘুষপাঁচালি
চন্দন তুষার
ঘুষোঘুষির রণধূপেই
পৃথিবী অন্ধকার,
মানব জাতির পাতা
ঘুষ খেকো সংসার।
ন্যায়ের বুকে মারছে লাথি
ঘুষের বোঝা বেশ সজোরে,
মানবিকতা বাঁধা রাখা
কর্ম লোভী ঘুষ বাজারে।
সততাভঙ্গুর হয়েছে বুঝি ?
ঘুষ ঘুণ পোকায় বেশ খেয়েছে !
বাহ্য চমক চরিত্রটি ,
সততার সুরে ঘুষ গেয়েছে।
অন্ধচরিত্রের অলঙ্কার চকচকে
নাকে চশমা চেয়ারের উত্তাপ,
ব্যাবসা টি, বেশ মন্দ তো নয়
কি আসল, নকল, ওজন পরিমাপ?
ন্যায়ের ঢাক পেটানো লাভে
ঘুষের কাঠি দুহাতে রাখি
পরিশ্রমের স্রোতে সততা ভাসায়
দলে ভারী যার পিছনে থাকি।
আসুক দেশে আসুক যতো আইন
শক্ত, পোক্ত, কঠিন কড়া কড়া,
সুবিধা ততই আইনের তেলে
ভাজতে ঘুষের বড়া।
ধৈর্য্যহীনা ক্ষণসময়ের চাবি
ঘুষের দরজা খোলে,
জন্ম থেকে মৃত্যু যাত্রার বুকে
ঘুষের হাতছানি মেলে।
কাটে জীবন ঘুষ লেনদেন খেলায়
ফিসফিস শব্দের বুলি সৎ
বুঝলে পাই রক্ত রক্তের ৠণী
ব্যাস্ততা বোঝে ঘুষের বাজিমাত।
অন্যায় ন্যায় মান্য মানার পথ চারী
শিশু বৃদ্ধা সকলেই সব বোঝে,
লালসা ভীষন বিঘ্নঘটায় পাপে
সৎ এর দরজা কাঁপছে ঘুষ লাজে।।