” বিজয়িনী বেশে “
——– রাশেদা হোসাইন সরকার
একি বিজয়িনী বেশে এলে তুমি
ফিরে একটি বছর পরে ;
তোমার অপেক্ষায় আপেক্ষমান
দামাল ছেলেরা বসে অাছে শুধুুই
তোমার পানে চেয়ে।
তুমি কি সত্যিই বিজয়িনী? না – শত
ছেলের হাস্যময়ী জননী! যা তোমার
শত ছেলের – রক্তে রাঙানো বয়ে
যাওয়া সাক্ষ্য প্রবাহিনী!
যা শত মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে
নিয়েছিল -বর্বর পাক হানাদার বাহিনী।
তাদেরই সাক্ষ্য বহনে তুমি কি স্রোতস্বিনী?
বিজয় – উল্লাসে তোমার মুখে হাসি তুলে দিয়েছিল তোমারই দামাল ছেলেরা!
শত মায়ের অশ্রু ঝরায়ে অকাতরে প্রাণ বিলায়ে -চলে গেছে তো তারা!
সেই স্মৃতির বহরে চলেছে আজও যুগ
যুগ ধরে চলবে বাংলার মাঠঘাট প্রান্তর!
সেই সাক্ষবহনে থাকবে তুমি যুগ হতে যুগান্তর।
ওগো” জ্যোতিময়ী, গরবিনী, বিভাসিনী,
তোমার ফিরবার অানন্দে উচ্ছলতায়-
বছরে বছরে বয়ে চলুক অজশ্র স্মৃতির ধারায়।
তুমি জেগে থাক তোমার বীর ছেলেদের
বুকে নিয়ে অব্যক্ত বীরকাহিনী,
রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে তাই তো
তুমি মুক্ত, স্বাধীন গরবিনী।