দে কালি দে মেখে
অসীম সাহা
*********************************
ভদ্রলোকের নিন্দা করে গাড্ডা মানুষজন
ভবঘুরে, নষ্ট এবং ভ্রষ্টদের এ-ক্ষণ।
কবি নামের একটা ভামে আমলা ছিলো আগে
সুন্দরীদের দেখলে পরে ওষ্ঠে লালা জাগে।
কেউ মানে না, কেউ পোছে না, তিনি বিশাল লোক
বিড়াল নামের সিংহশাবক, বাঘের ঘরে ঘোগ।
এ-ধারকা মাল ওধার করেন, একটা মোহাজির
পরের ধনে পোদ্দারি আর পান্তাভাতে ঘি’র!
পাঞ্জাবিতে তেল মাখানো, খুশবু গায়ে খুব
রাত্রি হলে মদ্যালয়ে মারেন তিনি ডুব।
আয়ের উৎস কেউ জানে না, তবুও গাড়ি হাঁকে
সুযোগ মতো মাতারিদের তেল ঘষে খুব নাকে!
জাতির পিতার নাম ভাঙিয়ে খুনি চাচার ব্যাটা
একাত্তরে মুক্তি মেরে চুকিয়েছিলো ল্যাঠা।
নেত্রী তাকে দেয়নি তো ঠাই, লাত্থি মেরে পোঁদে
তাড়িয়েছিলো, তাই গালি দেয় নেত্রীকে সে ক্রোধে।
আসল কথা ধান্ধাবাজি—ভাম ও দালাল মিলে
ওদের কথায় চলবে না কেউ, কান নিয়ে যাক চিলে!
এখন সময় ভাম ও দালাল দাবড়ে তাড়াবার
সর্পগুলোর ফণা থেকে থেঁতলে দে না ঘাড়।
বাঁচবে মানুষ,বাঁচবে কবি, ভাম ও দালাল থেকে
দামড়াগুলোর ঘৃণ্য মুখে দে কালি দে মেখে।