সঞ্জিতের কবিতা ”অনুভব”
তুমি বার বার করে, আসিয়াছ ফিরে,ধরণীর ধুলি পরে,
অনুভবে আমি বুঝেছি তোমারে,বহু জনমের পরে।
ধরা দিয়ে তুমি দাও নাই ধরা,তাই খুঁজি বারে বারে,
তুমি থাকো বুঝি প্রাণের গভীরে, আমি খুঁজি বার দ্বারে।
চোখ মেলে তাই দেখা হয় নাই,মিছে ঘুরি সভাঘরে,
ডাকিনি কখনো ভুল করে আমি, বেলা বৃথা যায় ঘোরে।
মিছে জপ তপ বৃথা আড়ম্বর,মিছে ভেক ধরি শুধু,
কত যে কাহারে বন্ধু বানাই, মুরুব্বী ধরেছি কভু।
মিত্র যেমন হয় বহুতর, অরি হয় তারও কিছু,
সময়ের ফেরে ফিরি হাহাকারে, ভেসে চলে যাই পিছু।
কত কিছু আছে আঁকড়িয়ে ধরি,কত বোঝা হয় ভারী,
যৎসামান্য পুঁজি নিয়ে বলি,কত কিছু দরকারি।
শান্তি শান্তি বলি বারে বারে, অশান্তি ছাড়ে না পিছু,
মানবিকতার খোঁজে খুঁজে ফিরি কত কার পিছু পিছু।
অন্ধকারেতে কার চোখ জ্বলে, বুঝিনি অন্ধকারে,
কাকে যে কখন দেখেছি তখন, কত ঘোর অনাচারে।
একি দেখি আজ হে ধর্মরাজ, কি দেখি নেশার ঘোরে,
মানবিকতার হাড় মাস বুঝি সকলই শ্মশানে পোড়ে।
কোথা তুমি ত্রাতা হে মোর বিধাতা,আর কতদিন পরে,
বাজাবে তোমার ব্যাকুল বাঁশরী, মহাকাল যেথা ঘোরে।
মঙ্গল ধ্বনি করগো তোমার,বিশ্ববীণার তারে
অন্তর মম বিকশিত হোক, ধরণীর ধূলি পরে।।