শূন্য রাতের সাঁতার
বিকাশ চন্দ
শরীর জুড়ে তখন আকাশ গঙ্গা স্রোত
অন্ধকার ভেঙে প্রতিদিন সংসারী উঠোনে
তপোবনে জেগেছিল বিনষ্ট কুঁড়ির জন্ম যন্ত্রনা,
গোধূলী সময়ে সচকিত আজানের সুর–
অন্য কোথাও কাঁসর ঘন্টা শাঁখের শব্দ
ভেতরে ভেতরে জেগে ওঠে নশ্বর ঘরে ঈশ্বর ভ্রমণ।
কুরুক্ষেত্র ধ্বংস লীলার নীরন্ধ্র ক্রোধের বিলাপ,
উজ্জীবিত বহমান সংসার সকল বাঁচে আশ্বাসে—
কখন লোপাট হয়ে গেছে বোধি বৃক্ষের কোমল ছায়া,
ইচ্ছামতির নীল জলে কেবলই মায়া বিসর্জন—-
রাতের সে উলঙ্গ অন্ধকার বাঁধে বজ্র বহু ডোরে
আড়ালে আনত নির্মল ঐশ্বর্য হৃদয় ভরণি।
সজল সময় বোঝে কোথাও জেগে মরুদ্যান—
সংকট বেলায় ছড়ানো ছেঁটানো নরকের বহুমুখ,
আগলে আছে সবুজ আস্তরণ সংসারী জনপদ—
রমনী রহস্য বোঝে চাঁদের কলার কুশলী মায়া,
অচৈতন্য সময় শরীরের খাঁজে জলে প্রদীপের আলো—
অঅনাবৃত যাপন কাল জানে শূন্য রাতের সাঁতার।