ওপার বাংলার কলমযোদ্ধা-নিমাই জানা এর একটি দীর্ঘ কবিতা “একটি দীর্ঘতর তীর্যক পরিমিতি ”

316
নিমাই জানা এর একটি দীর্ঘ কবিতা “একটি দীর্ঘতর তীর্যক পরিমিতি ”

একটি দীর্ঘতর তীর্যক পরিমিতি

নিমাই জানা

ক্ষয় রোগ আর পরিমিতি অংক একটু লম্বা দৈর্ঘ্যের ইতিহাস
পাথরের মতো পরজীবীরা আমার দেহে কিলবিল করছে ,

উলঙ্গ ক্যাকটাসের ব্লটিং পেপার শুষে নিচ্ছে আমার আগুনের আত্মহত্যাকে
আত্মহত্যার ও একটি ডাইমেনশান আছে
অভাববোধ নিজের ভাতের থালায় সাদা পাহাড়ের মতো মনে হয় ,

শুয়োপোকা উঠে যাচ্ছে উপরের দিকে নিঃস্ব ধ্রুবতারা হয়ে
আগুনকে তাই এতো তরল দেখায় আজকাল
বৈধব্যের মতো

ঈশ্বর এইমাত্র তরল হয়ে গেলেন
রঙিন দ্রবণ মেশালে সিদ্ধহস্ত পুরুষের ন্যায় সুদর্শন হাতে আবারো নেমে যান স্নানের অতল গহ্বরে
মৃত্যুর জন্য একটি পবিত্র স্নানের দরকার
কৃষ্ণ গর্ভধারণের বীজ রাখলেন আমার হাতের সমতল নাভিতে
এখান থেকে হিজল ফুলের দূরত্ব মাপতে চমকে উঠলাম যৌণ শিহরনে লোমকূপে জমে ঘামের নোনতা দাগ
পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাওয়া ধূসর মানুষগুলো আবারো উল্টো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে নিমতলায় ,

ভাগবত অধ্যায়ের স্তোত্র পাঠ করছে উন্মীলিত নয়নে

তারা কেউ নীল রঙের অশরীর নয়
পায়ের তলায় ক্ষয়রোগ স্পষ্টত উপসর্গবিহীন
কালো কালো চোখ থেকে আগুন বেরিয়ে যাচ্ছে মহাকালের ছায়াপথ হয়ে
ধারাপাত পড়ছি যার কোন রক্তের শিরা নেই সংক্রমণ পড়ছি যার কোন নিরাময় নেই
শরীর পড়ছি যার কোন মৃত্যু ভয় নেই
নারী পড়ছি যার কোন আভরণ নেই
নদী পড়ছি যার কোন যৌনাঙ্গ নেই
কেবল ,একটি পুরুষ পড়ছি যার শরীরে কেবল সহস্ত্র রোদের মতো মৃত্যুর স্তনবোটা রয়েছে

সহবাসের কাছে দুটো জীবাশ্ম ওষুধ রেখেছি যারা উত্তেজনা সময় আমাকে মৃত বলে ভাবে অথচ বিছানার তলায় একটি জীবনদায়ী রেখেছি
গভীর রাতে জোনাকির মত আলো জ্বললেই আমি সন্ন্যাসী হয়ে যাই
আমার লালাভ বীর্যপাতে কেমন ধুপের গন্ধ অদ্ভুত এক মায়া ঘরের ভেতর ঢুকে যেতেই টেনে ধরলো আমার নারী
আমি আর মাটি খুঁজে পেলাম না আমি কেবল হিউমার ছাড়িয়ে জিভের তলায় দুটো ট্যাবলেট রাখলাম
একটি শহরের তলায় পাললিক ইতিহাস পড়ছি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here