টেকনাফ প্রতিনিধি: চলমান মাদক বিরোধী অভিযান থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্তে মাদক পাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় সচেতন মহলের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। নিত্যদিন মাদকবিরোধী অভিযানে মালিকবিহীন ইয়াবার চালান আটক হলেও কেন যেন পাচারকারীরা রয়ে যায় অধরা। টেকনাফে কোস্টগার্ড–বিজিবির পৃথক অভিযানে একদিনেই ৯ কোটি টাকার মালিকবিহীন ইয়াবা জব্দ করা হয়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের প্রথম প্রহর সোয়া ১টার দিকে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের টেকনাফ সিজি স্টেশনের জওয়ানরা সাবরাং জালিয়া পাড়া পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবার চালান খালাসের খবর পায়। এসময় তারা বোট নিয়ে টহলে যাওয়ার সময় একটি সন্দেহভাজন বোটকে থামার সংকেত দিলে একটি প্লাস্টিকের বস্তা নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। বস্তাটি উদ্ধার করে সিজি স্টেশনে এনে গণনা করে সাড়ে ৭ কোটি টাকার ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। জব্দকৃত ইয়াবা পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সাবরাং খুরের মুখ অস্থায়ী চেকপোস্টের নায়েক মো. রকিবুল হাসান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটর সাইকেলযোগে বিশেষ টহলদল নিয়ে নয়াপাড়ায় অভিযানে যান। এ সময় সন্দেহভাজন ২ জনকে ধাওয়া করলে তারা একটা প্যাকেট ফেলে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে এটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে প্যাকেটটি খুলে গণনা করা হয়। এতে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ৫০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিনিয়ত বিজিবি–কোস্টগার্ড জওয়ানদের অভিযানে ইয়াবার বড় বড় চালান উদ্ধার হলেও পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। ফলে মাদক পাচার বন্ধ হচ্ছে না।