দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: কুড়িগ্রামে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধরলা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ কনের বাবাসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুরের ডুবুরি দল।
নিহতরা হলেন- উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা রায়পাড়া গ্রামের কনের বাবা নুরু (৫৫), কেরামত উল্লাহর ছেলে নূর ইসলাম (৫৭), তৈয়ব আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৫২) ও সোনাউল্লাহর ছেলে কামরুজ্জামান (৫৮)।
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার বিকালে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ধরলা নদীতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যমুনা রায়পাড়া গ্রামের নুরুর কন্যা নাছিমা বেগমের (১৮) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেলদারগঞ্জ পূর্ব সাতভিটা নামারচর এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে আলমগীর হোসেনের (২৪) ঈদের দিন বিয়ে হয়।
গত বুধবার বরের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মেয়ে পক্ষের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন নৌকায় বাড়ির পথে রওনা দেন। পথে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে নৌকায় থাকা পলিথিনে সবাই একসঙ্গে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বকসীগঞ্জঘাটের অদূরে নৌকায় তাদের হুড়োহুড়ি এবং নদীতে বাতাসের বেগ বেশি থাকায় নৌকাটি ডুবে যায়।
পরে নৌকায় থাকা অন্যান্য যাত্রী সাঁতরিয়ে কিনারায় আসতে পারলেও চারজন নিখোঁজ হন। ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুরের ডুবুরি দল।
উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ নাজমুল হাসান চারজনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।