আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৌদ্ধ বিন লাদেন খ্যাত উগ্রপন্থী সন্ন্যাসী উইরাথু রবিবার বলেছেন, যেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মিয়ানমারে আসবে, সেদিন বন্দুক হাতে তুলে নেবেন তিনি। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সেনাসমর্থিত একটি সমাবেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বারবার ঘৃণামূলক বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার অভিযোগে উইরাথুকে কোন জনসভাকে বক্তব্য দেয়া নিষিদ্ধ করেছিল মিয়ানমারের সিনিয়র সন্ন্যাসীদের একটি কাউন্সিল। তবে গেল মার্চে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এই প্রথম কোন জনসভায় বক্তব্য রাখলেন উইরাথু।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া ঠেকানোর কারণে এদিন তিনি চীন ও রাশিয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি দেশ দুটিকে ‘সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো জাতীয়তাবাদী দানব’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রোহিঙ্গাদের বাঙালি উল্লেখ করে উইরাথু বলেন, বাঙালিদের রোহিঙ্গা বলে বিশ্বের কাছে মিথ্যা বলবেন না কারণ আপনারা ইসলামীকরণের প্রসার করতে চান। একটি ভুয়া গ্রুপ তৈরি করে আমাদের দেশকে ধ্বংস করবেন না।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তার বিচারের আহ্বানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনাও করেন।
এর আগে ঘৃণা ও উসকানি দিয়ে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে উইরাথুকে নিষিদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওইসময় রাখাইনে গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও ব্যাপক মাত্রায় হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যার উদ্দেশ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।
সূত্র : নিউ স্ট্রেইটস টাইমস