দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমেই বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেয়া নোভেল করোনাভাইরাস উদ্ভব হয়েছে। এটি কোনো গবেষণাগারে তৈরি হয়নি।
নেচার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে। এতে ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।- খবর টেলিগ্রাফের
সাধারণভাবে এমন কথা ছড়ানো হয়েছে যে সার্স-কভ-টু নামের নতুন করোনাভাইরাসটি আসলে গবেষণাগারে তৈরি।
গবেষকরা করোনাভাইরাসটির জেনোম সিক্যুয়েন্স বিশ্লেষণ করে প্রমাণ পেয়েছেন যে এটি মানুষ তৈরি করেনি, প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা জোরালো প্রমাণ পেয়েছেন। সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুড় বা বনরুই জাতীয় পিঁপড়াভুক প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে বলে ধারণা পেয়েছেন তারা।
গবেষকরা বলেন, আমাদের বিশ্লেষণ পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, সার্স-কভ-টু গবেষণাগারে তৈরি করা হয়নি বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করা ভাইরাস নয়।
গবেষক দল ভাইরাসটির স্পর্শ তন্তুর দুটি প্রোটিন উপাদান বিশ্লেষণ করেছেন। ভাইরাসটি মানুষ অথবা প্রাণী কোষের সঙ্গে সংযুক্ত হতে ও তার দখল নিতে এই স্পর্শ তন্তুগুলোই ব্যবহার করে।
তারা দেখেছেন, ওই প্রোটিনের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য মানুষের কোষের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটাতে এতটাই সক্ষম যে এটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফল ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে এটি তৈরি হয়নি।
ভাইরাসটির ব্যাকবোন বা সামগ্রিক মলিক্যুলার স্ট্রাকচার বিশ্লেষণেও এই ফল প্রয়োগ করেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চের ইমিউনোলজি ও মাইক্রোবায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসেন বলেন, করোনাভাইরাস প্রজাতিগুলোর প্রাপ্ত জেনোম সিক্যুয়েন্সের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে, আমরা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত যে সার্স-কভ-টু (নভেল করোনাভাইরাস) এর উদ্ভব প্রাকৃতিকভাবে হয়েছে।