দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার পর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে নওগাঁ সদরের পার-নওগাঁর দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- নওগাঁ সদরের ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মণ্ডলের ছেলে হারুন মণ্ডল (৩৬), পার-নওগাঁর দক্ষিণপাড়ার আজাহার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), আফজাল হোসেন মোল্লার ছেলে নূর ইসলাম নোবেল (২০), আব্দুস সালামের ছেলে মো. আশিক (১৯), নাফিউল ইসলাম মুসার স্ত্রী শান্তা খাতুন (৩০), মো. খোকনের স্ত্রী নিপা খাতুন (৩২), মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে সন্ধ্যা খাতুন (১৯) এবং বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার কেল্লা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রিয়া খাতুন (৩০)।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, নওগাঁ শহরে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় বাসা ভাড়া নেন এই প্রতারক চক্র। এরপর শান্তা, নিপা, সন্ধ্যা ও রিয়া নওগাঁর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিকে টার্গেট করে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর তাদের সঙ্গে কথিত প্রেম সম্পর্কে গড়ে তোলে। একপর্যায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে আনে। তাদের বাড়িতে ডেকে এনে ঘরের দরজা বন্ধ করে উভয়ে বিবস্ত্র হয়। ছেলে সহযোগিরা এসে তাদের বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি তোলে এই চক্র। ওই ছবিগুলো ফেইসবুকে বা নানাভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে তারা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই জানান, সদরের পার-নওগাঁর দক্ষিণপাড়ার এলাকার এমনই এক ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এই চক্রের এক নারী। এরপর ওই লোকটিকে ওই বাসায় নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে ছবি তোলে। এরপর ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এরপর ওই লোকটি থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ টাকা দেয়ার জন্য সাদা পোশাকে গিয়ে হারুন মণ্ডলকে আটক করে। হারুন মণ্ডলের দেওয়া তথ্য মতে সদরের পার-নওগাঁর দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও সাতজনকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, ইতিপূর্বে নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় শিউলী ম্যানসনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকাকালীন মঙ্গলপুর গ্রামের এক ব্যক্তিকে এমন ফাঁদে ফেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৮ লাখ টাকা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল।