নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে নির্বাচনি মালামাল। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে আজ মাঠে নামছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারণার ইতি টানতে হবে আজই। তাই শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। ব্যাপক উত্সাহ, উদ্দীপনা ও উত্সবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানী শহরে।
তীব্র শীতের মধ্যেও প্রচার থেমে নেই প্রার্থীদের। ঘুম হারাম করে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা ভোটারদের দোরগোড়ায় ছুটছেন। ভোটারদের মন জয়ের প্রতিযোগিতায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে চান না। তবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ভোটাররা।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটাররা ভোটের আগের দিন নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নিজের ভোট দেওয়া অনুশীলন করতে পারবেন। ইসির ইভিএম প্রকল্পের অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান এ তথ্য জানান। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও আনুষঙ্গিক মালামাল রাজধানীর আটটি ভেন্যু থেকে আজ বিতরণ করা হবে। দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ভেন্যু থেকেও আজ মালামাল বিতরণ করা হবে।
ঢাকার দুই সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন ৬৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাতটি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা ঢাকা সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এর মধ্যে আমেরিকার ২৭ জন, ব্রিটিশ ১২ জন, সুইজারল্যান্ডের ৬ জন, জাপানের ৫ জন, নেদারল্যান্ডসের ৬ জন, ডেনমার্কের ২ জন, নরওয়ের ৪ জন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৫ জন পর্যবেক্ষক সিটি ভোট পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এর বাইরে আরো ১৫ জনের আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের দিন লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও আন্তঃজেলা লঞ্চ চলাচলে কোনো বাধা নেই। ইসির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এই আদেশ জারি করে। ইসি জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, বেবিট্যাক্সি বা অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ট্রাক, টেম্পোসহ অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত।
তবে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।