দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর মধ্যে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দীর্ঘদিন যাবৎ লন্ডনেই আবাস গড়েছেন। দুর্নীতি মামলায় সাজা হয়েছে তারও। এমন পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরে বিএনপির হাল ধরবেন এমন খবর বেরিয়েছিলো কয়েকদিন আগে। এমন খবরে আশান্বিত হয়েছিলেন বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে তাদের সেই আশা হয়তো পূরণ হচ্ছে না।
লন্ডন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সুর শোনা গিয়েছে লন্ডনে বসবাসরত জোবাইদার একাধিক স্বজনের মুখেও।
ডা. জোবাইদা রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার ঠিকানায় তালিকাভুক্ত ভোটার ছিলেন। এক-এগারোর পর তিনি স্বপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান।
দিন কয়েক আগে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্দিনে বিএনপির হাল ধরতে শিগগিরই দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, সিলেট বা বগুড়া থেকে প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়ে জোবাইদাকে আপাতত দলের ভাইস চেয়ারম্যান করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। নির্বাচনী কাজে সমন্বয়ের দায়িত্বও তার হাতে ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছে। আপাতত তারেকের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি দল চালাবেন।
ক্লিন ইমেজের জোবাইদাকে বরণ করতে দেশের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুত বলে দাবি করেছিলো পত্রিকাটি।
তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতা মুখ খোলেননি। লন্ডন বিএনপির নেতারাও জোবাইদার দেশে ফেরার কথা নিশ্চিত করতে পারেননি।
বিএনপির যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন, এমন কোনও তথ্য তার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, জোবাইদার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলি জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সেনা-সরকারে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানি জুবায়দার কাকা। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আইরিন খানের খুড়তুতো বোন জোবাইদা চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হন। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন থেকে রেকর্ড নম্বর ও স্বর্ণপদক নিয়ে এমএসসি করেছেন।