গত ২৬ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জন্য বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান জহির ও বহিস্কৃত সংস্কারপন্থী নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে ধানের শীষে মনোনয়ন এর চিঠি প্রদান করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।বহিস্কার প্রত্যাহার করেই তৃপ্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় শার্শা পরীক্ষিত নেতাকর্মিদের মাঝে এই ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শার্শা কয়েকজন পরীক্ষিত নেতারা জানান, দলের দুঃসময়ে যারা যারা আত্মগোপন করেছিলেন, এখন তারাই মনোনয়ন পাচ্ছেন। অন্যদিকে গত ১০ বছর সুবিধা বঞ্চিত, পরীক্ষিত নেতাদের উপেক্ষা করে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদী নেতাদের মূল্যায়ন করায় দলের নিবেদিত কর্মীরা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের জনপ্রিয় নেতাদের উপেক্ষা করে হাইব্রিড ও সুযোগ সন্ধানী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ায় আসনগুলোতে বিএনপির ভরাডুবির শঙ্কা করছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়া সময় শার্শা বিভক্তি বিএনপিকে দেখা যায়। সংস্কারপন্থী নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি মনোনয়ন জমা দেওয়া সময় ১০ বছর ধরে দলের কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো না এমন কিছু সংখ্যক ছাত্রদল যুবদলে ২৫/ ৩০ জন কর্মি উপস্তিত থাকলেও ,শার্শা পরীক্ষিত কোন নেতাকর্মিকে তার সাথে দেখা যায়নি।
তারি বিপরীত অবস্থা ছিলো অপর মনোনয়ন পাওয়া আবুল হাসান জহিরে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তার সাথে উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব খায়রুজ্জামান মধু, যুবদলে সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সালাহ উদ্দিন বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক,যুবদল ও ছাত্রদলের পরীক্ষিত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মি উপস্তিত ছিলেন।
শার্শা তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মিদে দাবী,যারা ১০ বছর চরম বিপদে হামলা মামলা নির্যাতন সহ্য করে দলের হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে,তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।তা না হলে ভবিষ্যতে কেউ দল বিপদে পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দল করবে না।
শার্শা ১০ বছরের পরীক্ষিত নেতাকর্মিদের দাবী মনোনয়ন যদি সুবিধাবাদীদের মূল্যায়ন করা হয়,তাহলে নির্বাচনে বিএনপি ভরাডুবি হবে।তারা আশা করেন দলের চরম বিপদে দলের হাল ধরে রাখা সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু,সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান জহিরসহ
সবাইকে মূল্যায়ন করতে হবে।
দলিও ব্যাপারে বিবাদ সৃষ্টিনা করে সবাই একতা বদ্ধ ভাবে দলের হয়ে কাজ করাটাই উওম এতে সমাজের প্রতিটি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসাবস করতে পারবে