তারুণ্যের বিশ্লেষক- ডাক্তার রীতা ওঝা এর ভ্রমণ নিয়ে অসাধারণ লেখা “বর্ষায় বাঘিয়া বিলের বিকেলবেলা ”

1100

বর্ষায় বাঘিয়া বিলের বিকেলবেলা

                                                 ডাক্তার রীতা ওঝা

ঘুরতে খুব ভালো লাগে। তাই পরিবারের সদস্যদের ও পাড়ার বাচ্চাদের নিয়ে নিজেদের ট্রলারে বিকালবেলা বেরিয়ে পড়ছি। ট্রলারের বিরক্তিকর শব্দের সাথে নদীর কলতান ও একটু শীতল হাওয়া, খণ্ডিত মেঘের দ্বারা আবৃত সূর্যের তেজরশ্মি, হাঁসের প্যাকপ্যাক শব্দ, নীল আকাশের নিচে উড়ন্ত পাখি, বাচ্চাদের কোলাহল, গুনগুনিয়ে গান গাওয়া, জমির ডাঙায় চলার পথে বিষকাড়ালি গাছের মাথা নত হওয়া, কচুরিপানার মধ্যে যাওয়ার সময় ঘাসফড়িংয়ের লাফ দেয়া, দেখে মনে হচ্ছে শত্রুরা এসে আঘাত হানছে, সোনাব্যাঙের লুকিয়ে থাকার ভঙ্গিমা, দুষ্ট মশা, বিরক্তিকর পোকামাকড়, থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, জালে আটকাপড়া মাছের ছটফটানি, বর্ষাকালে পানিতে জন্মানো প্রকৃতির অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ বিশেষ করে শাপলা ফুলের সৌন্দর্য ও অন্যান্য দৃশ্য আমাদেরকে করোনাকার কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। আর একটা লাল পতাকা ঘেরা এরিয়া শিরোনাম দেখে খুব ভালো লেগেছে ।কোটালীপাড়া ,গোপালগঞ্জ,মৎস অধিদপ্তর এর আওতাধীন ‘মৎস অভয়াশ্রম'(510 হেক্টর জায়গা)।


তবে সবচেয়ে আনন্দদায়ক হলো শাপলা ফুল দিয়ে বিনে সূতার মালা গাঁথা,পদ্মফুল তোলা। সব মিলিয়ে প্রকৃতির অসাধারণ সৃষ্টির মুহুর্ত পড়ন্ত বিকেলে বাঘিয়া বিলে সবার মনকে আনন্দঘন করে তুলেছে।
সবার সংক্ষিপ্ত জীবন যেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে এ শুভকামনা করি।
সবশেষে কবির ভাষায় বলতে চাই…
“প্রকৃতি থাক অন্তর জুড়ে
করোনারা যাক দূরে
সবার হৃদয় গান গেয়ে যাক
প্রকৃতির সুরে সুরে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here