অনুস্মরণ
রুনা দেব চৌধুরী
শেষ বিকেলের অপরূপ আলোয়
প্রকৃতি আজ উজ্জ্বল এক অনন্য রূপে ….
মধ্যান্হের তপ্ত ভানু প্রায় অস্তাচলে—
তবু গোধূলির রেশটুকু রেখে যাওয়ার এক অনুপম চেষ্টা ।।।
জানালার পাশে অপলকে চেয়ে থাকতে থাকতে—
কিছু অতীত রোমন্থনের ইচ্ছেয়
সংযত হলো না মন …
সম্মোধনের ভাষাটা আজ আর মনেই পড়ে না ,
তবে, তুমি কোনোদিনই কোনো বিশেষণে
ভূষিত করোনি আমায়।
যে ‘ স্বপ্ন ‘ চুরির কথা সেদিন বললে তুমি–
তাকে কল্পনাতে মিশিয়ে দিয়েছিলাম
ঝিঁঝির ডাক আর জোনাকির আলোয় ভরা
সেই অভিসারের রাতে …….
তাজা গোলাপ নিহত হয়েছিল সেদিন…
খুনির কাঠগড়ায় সমাজ ;
তাই বিচার ও প্রয়োজন হলো না ।
মাঝে বয়ে গেল বহু সময় –
সেদিনের অপরিণত মন এখন
পরিণত সময়ের ভারে ,
চড়াই উৎরাই এর মধ্যে দিয়ে চলে গেছে
কুড়ি ব….. ছ…….র
সেদিনের ঝাউবনের বেষ্টনীর ঘন আড়াল
আজ ধূ ধূ প্রান্তর ….
সেখানে অসংখ্য ছোট নুড়ি পাথর আর
জলজ জীবের রক্ত মাংসহীন দেহ,
যা এত বছরের রোদ বৃষ্টি ঝড়ে
পরিণত হয়েছে ফসিলসে ,
‘অংশীদারিত্ব’ এর কথা বলছো ???
আমার কোনো ‘অংশীদারিত্ব’ নেই ,
আমি শুধু ” দায়িত্ব ” ।
যার শরীরে সব পোশাক সঠিকভাবে মানিয়ে যায় ।
সকলের চোখে দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে ।।
যখন ই সে পোশাক পুরোনো হয়ে তার ভেতরের সুতো
আলগা করে ছাড়তে থাকে
তখন তাকে তোরঙ্গ থেকে বের করে
আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করাই
” শ্রেয় ” ……..