দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ মোঃ সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে চারজনকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আরো ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরণের শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
যাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাহিয়ান সেজানও রয়েছেন।
স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ পাওয়া বাকি তিন জন হলেন- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রাজ্জাক এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিয়াজ খান নিলয়।
গত ৩০শে নভেম্বর মিস্টার হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তাকে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
এ ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যাপক বিক্ষোভের পর ৩রা ডিসেম্বর সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ নয় জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়।
রবিউল ইসলাম বলছেন, কমিটির দেখেছে যে এসব শিক্ষার্থীরা অশোভন আচরণ করেছে শিক্ষকের সাথে এবং তারা মনে করেন হলের কোন বিষয় নিয়ে শিক্ষকের সাথে বিভাগে এসে কথা বলা ঠিক হয়নি।
ডঃ মোঃ সেলিম হোসেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন।