বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ‘সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবি সমন্বয়ক সারজিসের

20
সংগৃহীত ছবি

দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: প্রতিনিয়ত বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রাজপথ এবং ফেসবুক, দু’ক্ষেত্রেই তিনি সমান এক সক্রিয় প্রতিবাদী।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে তিনি বিসিএসে প্রশ্নফাঁসকারী এবং এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা দেওয়া ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসকারী এবং এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। বুধবার রাতে ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে তিনি প্রশ্ন ফাঁসকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘একটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করা যে কতটা অক্লান্ত পরিশ্রম ও সৌভাগ্যের বিষয় তা শুধু তারাই জানে যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যারা সেই প্রশ্নগুলো কিনেছে তথ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া ও শাস্তির আওতায় আনা হোক। কিন্তু বাকি ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যারা মেধা, পরিশ্রম এবং যোগ্যতা দ্বারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে; ওই কালপ্রিটদের জন্য তাদের সঙ্গে এত বড় অন্যায় করা কখনও যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না। এ দুর্নীতির দায় আপনাদেরই নিতে হবে। তাই পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা এই প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্ন ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনুন। কিন্তু অন্য ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক বছর নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ চাকরিপ্রার্থী। পরে গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। আগামী ২৮ আগস্ট থেকে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৭ জুলাই পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবশেষ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষায়ও প্রশ্নফাঁস হয়। পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেই চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে চক্রটি প্রশ্ন পাঠায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চক্রটি ৩৩তম থেকে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে আসছে। এতে পিএসসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here