শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন আজ

24
Doinik Alap
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আজ রায়ের দিন

স্টাফ রিপোর্টারঃমানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ রায়ের দিন .জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে উত্তপ্ত পরিবেশ। গত কয়েকদিনে সারা দেশে গাড়িতে আগুন দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপি প্রতিরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রায়কে কেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, শেখ হাসিনার মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণের জন্য ১৩ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। এদিন ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা দেবেন কবে রায় দেওয়া হবে। যারা সারা দেশে নাশকতা করছে তাদের বিষয়টি প্রশাসন দেখবে। এ নিয়ে প্রসিকিউটর কোন প্রকার ভীত নয়।  

গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণের জন্য ১৩ নভেম্বর ধার্যের আদেশ দেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে আটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকউটরের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন নির্ধারণের তারিখ ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম ও মিজানুল ইসলাম। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে প্রসিকিউশন। আজ (১৩ নভেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ পাওয়ার আশা করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মিজানুল ইসলাম এ আশার কথা জানান। 

মিজানুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, কিন্তু বিচার তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও এই মামলার রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার।

গত ১০ জুলাই এ মামলার রাজসাক্ষী হন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে দোষ স্বীকারের শর্তে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।

গত ১ জুন এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসামি করা হয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনেন।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here