লজ্জাবৃত স্বর্ণতাজ
মমতাজ মনী শেলী
লজ্জা’সে’কি নারীর ভূষণ
নাকি শোকেসে সাজানো
আসবাবের শোভা?
ফুল ফুলদানিতে সাজানো
গন্ধহীন কাগজের ফুল
যা দৃষ্টিতে মনোলোভা?
লজ্জা কি নারীদের পিঠখোলা
ব্লাউজের মাঝে আবৃত?
নাকি পুরুষের নির্লজ্জ দৃষ্টিতে আবদ্ধ?
লজ্জাকি শুধুই বোরকার আড়ালে?
নাকি আবরণের অন্তরালে
লজ্জা,সে কোথায় আছে
সে কি আছে মনে?
লজ্জার স্বরূপ দেখেছি আমি
খোলাবাজারে রমনা পার্কে
সোহরাওয়াদি উদ্যান
হাতিরঝিল আর
বোটানিক্যাল গার্ডেনে।
ঝোপের আড়ালে,দেয়ালের কোণে
জোড়ায় জোড়ায় মুক্ত আলিঙ্গনে।
যুবক,যুবতী বয়স্কদেরও
নেই সেখানে ভেদাভেদ
নারী পুরুষের নির্লজ্জতা
বেহায়াপনার নেই তো শেষ,
জন সম্মুখেই উগ্র লেহন,
অশ্লীল ভঙ্গিমায় ওষ্ঠ চুম্বন।
দিবালোকেও প্রকাশ্যে
কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে সহাস্যে
স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে,
শিক্ষার অজুহাতে বাইরে গিয়ে
অবাধ যৌবনের তাণ্ডবলীলায়
প্রেম নামক বসিয়েছে মেলা,
অশ্লীল ইঙ্গিতে যুবকের শিস
টিপ্পনী ইশারার চলছে খেলা।
কিশোরের হাতে মাদক নেশা
কিশোরীদের প্রেম তামাশা
বয়স্করাও ছাতার তলে
যাচ্ছে ডুবে প্রেম অতলে
এর নাম যদি লজ্জা হয়
তবে লজ্জা কোথায় আজ?
দোহাই তোমাদের,
নারীর সম্ভ্রম রাখো ঢেকে
মাথায় পড়ে নাও লজ্জাবৃত
সভ্যতা শালীনতার স্বর্ণতাজ।
এক জন নারীর নির্লজ্জতা
হাজারো নারীর অবমাননা
কলঙ্কিত করো না নারীর সম্মান
এই টুকুই মোর কামনা।




















