ইন্দোনেশিয়ায় আযানের আগে ঢোল বাজানোর প্রথা

30

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;- ইন্দোনেশিয়ায় নামাজের জন্য ঢোল (Bedug / বেদুগ) বাজানো একটি বহু শতাব্দীর পুরোনো ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রথা। এটি বিশেষভাবে জাভা, সুলাওয়েসি, বালির মুসলমান সম্প্রদায়ে বেশি দেখা যায়।

বেদুগ (Bedug) কী?
বেদুগ হচ্ছে বড় আকৃতির কাঠের তৈরি ঢোল, যার দু’প্রান্তে চামড়া লাগানো থাকে। এটি সাধারণত মসজিদের বারান্দা বা মিনারের নিচে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

কেন নামাজের জন্য বেদুগ বাজানো হয়?
আজান শোনানোর আগে বা পরে বেদুগ বাজানো মূলত একটি সংস্কৃতিগত ইসলামি ঐতিহ্য, যা ইসলামের সাথে স্থানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ।

এটি ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য—

  1. মুসলমানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা
  2. আজানের সময় ঘনিয়ে এসেছে—এটি বোঝানো
  3. জুমা, তারাবি, ঈদের নামাজের আগে বিশেষ ঘোষণা
  4. বিদ্যুৎ বা লাউডস্পিকার না থাকলে এটি হয় প্রধান সাংকেতিক মাধ্যম।

আজানের পরিবর্তে কি বেদুগ বাজানো হয়?
না। আজান সর্বদা কণ্ঠে বা মাইকে দেওয়া হয়।
বেদুগ কেবল সাপোর্টিং সিগন্যাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় – ঐতিহ্য হিসেবে এখনো অনেক জায়গায় চালু আছে।

কোথায় বেশি দেখা যায়?
জাকার্তা, পালেম্বাং, সেন্ট্রাল ও ইস্ট জাভা, সুলাওয়েসি, বালি ও লমবক অঞ্চলে মুসলিম গ্রামগুলোতে বিশেষত মাগরিব ও ফজরের আগে বেদুগ বাজানো হয়।

রমাদান মাসে সেহরির আগে গ্রামে ঢোল/বেদুগ বাজিয়ে মানুষ জাগানো এবং ইফতারের আগে “চেনচেন” বা বেদুগ বাজানো একটি উৎসবমুখর ঐতিহ্য।

এটি পুরোপুরি ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় ধর্মীয় সংস্কৃতি, শরীয়াহ্ ভিত্তিক ফরজ বা সুন্নত হিসেবে বিবেচিত নয়।

তথ্য সংগ্রহ:
মুহাম্মাদ শরিফুর রহমান
লেখক ও গবেষক
Email: sdgmodelvillage@gmail.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here