
পোষ্য
মহুয়া ব্যানার্জী
তুমি অবিন্যস্ত হলে
আমি শান্তির ঘুম ঘুমোই।
একটা একটা করে তোমার পালক
খসে, ডানা মুড়ে যায় , ডানা ভাঙে
উড়ানের ছবি ধূসর হতে হতে অস্পষ্ট –
নতমুখী তোমার অসুখ দেখতে দেখতে
আমি তৃপ্তির ঢেকুর তুলে পাশবালিশ জড়াই,
পাশ ফিরি আবার তলিয়ে যাই ঘুমে।
তুমি আমার বোকামি দেখে হাসতে হাসতে মরে গিয়েও উঠে দাঁড়াও।
একটা একটা করে পালকগুলো কুড়িয়ে জড়ো করো, জুড়ে দাও , গুছিয়ে ওঠো-
ছেঁড়াখোঁড়া পোশাক খসিয়ে পরিপাটি সুখের মোড়কে ঢেকে নাও অন্ধকারের আঁচড়!
তারপর, সন্ধিক্ষণে ভাঙা ডানা প্রসারিত হয় ,
তুমি এগিয়ে আসো আমায় সুখ দিতে বোধহয়,
অথচ আমি তোমাকে এভাবে ভয় পাই,
বিছানায় সঙ্কুচিত হতে হতে শেষ হয়ে যাই-
তুমি মুখোমুখি প্রস্তুত হলেই আমি তোমার পোষ মানি!



















