অনুভূতির কবি মনীষা কর বাগচীর “শেষ বিদায়”

30
Doinik Alap
অনুভূতির কবি মনীষা কর বাগচীর “শেষ বিদায়” কবিতায় ফুটে তুলেছেন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো এক আত্মার অনুভব।

শেষ বিদায়
মনীষা কর বাগচী

বুক মহলের সবকটি দরজা বন্ধ।
ফুসফুস আর অক্সিজেন চাইছে না এখন।
ধীরে ধীরে বরফ শীতল হাত পা।
শত সহস্র স্নিগ্ধ সুগন্ধি বেলী ফুলে ঢাকা আমার অনিন্দ্য সুন্দর নিখুঁত দেহবল্লরী।

চারিদিকে প্রিয়জনের ভীড়।
দু এক জোড়া চোখ ভিজেও উঠেছে কখন যেন।
কেউ বলছে আহা মানুষটি বড্ড ভালো ছিল!
কেউ আবার বলছে সে মন্দ লিখতো না কিন্তু!
কেউ বলছে আহা বড় অসময়ে চলে গেল!
কেউ অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুমুঠো ফুল ছড়িয়ে দিল নীথর অকেজো ব্রাত্য শরীরের উপর।
কারো কারো ব্যস্ততা খুব।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্মশান ঘাটের কাজটি চুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এই আর কি।
কে যে আপন ছিল,
আর কে যে আপন হ‌ওয়ার ভান করেছে চিরটাকাল সব বুঝতে পারছি এখন।

দেখছি সব। কষ্ট হচ্ছে খুব ।ছেড়ে যেতে মন চাইছে না।
একান্তই নিজস্ব, নিজে হাতে গড়া চির আপন অতুল ঐশ্বর্য পড়ে রইলো এক পাশে।

ধীরে ধীরে কমে গেল ভীড়।
একে একে চলে গেল প্রিয় মুখোশ ধারী অপ্রিয়জন।
আমি অপেক্ষায় রইলাম তোমার।
ভেবেছিলাম আজ শেষ বারের মতো শেষ দেখা দেখতে একবার অন্তত আসবে।
দুফোঁটা অশ্রুনীরের আর দুটো জিনিয়া ফুলের অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
আমার সে ইচ্ছেটুকুও পূর্ণ হলো না গো।
তুমি কি একেই প্রেম বলো ?

সত্যি করে বলতো অখিলেশ আমি কি খুব বেশি আশা করে ফেলেছিলাম?
খুব বেশি?
খুব বেশি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here