বেজিংয়ের পাল্টা ‘দাওয়াই’! আমেরিকার বেশ কিছু খাদ্যপণ্য এবং বস্ত্রের উপর আমদানি শুল্ক বসাল চিন

6
(বাঁ দিকে) শি জিনপিং এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে চিনা পণ্যের উপরও অতিরিক্ত শুল্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।

এ বার বেশ কিছু আমেরিকান পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল চিন। সেই তালিকায় যেমন আছে খাদ্যপণ্য, তেমনই বস্ত্রও। অনেকের মতে, এর মধ্যে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাল্টা ‘দাওয়াই’ দিলেন চিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

মঙ্গলবার চিনের অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কথা জানানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও পণ্যের উপর ১০ শতাংশ, আবার কোনও পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে। আগামী ১০ মার্চ থেকে তা কার্যকর হবে।

অতীতেও বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে চিন। আমেরিকা থেকে আসা কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি সরঞ্জাম ও বড় গাড়ির উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করা হয়। এ বার আরও কয়েকটি পণ্যের উপর শুল্ক চাপানোর কথা জানাল বেজিং। বিবৃতি অনুযায়ী, সয়াবিন, শূকরের মাংস এবং অন্যান্য পণ্যের উপর ১০ শতাংশ এবং আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত মুরগির মাংস, গম, ভুট্টা এবং তুলোর উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্পের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিশ্ব দরবারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, আমদানি শুল্কের বিষয়ে তিনি কখনওই নমনীয় হবেন না। ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি অনুসরণ করার কথা জানান ট্রাম্প। তাঁর দাবি ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও সেই সব দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। গত নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে। প্রয়োজনে চিনা পণ্যে আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে দেখা যায়, চিনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার থেকেই তা কার্যকর হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here