দৈনিক আলাপ খেলাধুলা ডেস্ক : লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চড়াও হয় অলরেডরা। কিন্তু অনেকটাই খেলার ধারার বিরুদ্ধে গোল পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ৫৮তম মিনিটে গোল আদায় করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস।
তবে নিশ্চিতভাবেই ফাইনালে রিয়ালের জয়ের ‘নায়ক’ থিবো কোর্তোয়া। ম্যাচে রিয়ালের গোলবারে ২৪টি শট নেয় লিভারপুল তারকারা। যার ৯টি ছিল অনটার্গেটে। তবে লিভারপুলের একের পর এক প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক। অপর দিকে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা পুরো ম্যাচে শট নেন মাত্র চারটি। আর মাদ্রিদিস্তাদের উল্লেখ করার মতো শট ছিল ওই একটাই।
এদিন গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। শুরুতে উজ্জ্বল ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ফাইনালের প্রথম ১০ মিনিটে মাদ্রিদিস্তাদের বলদখল ছিল ৭৬%। তবে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে অলরেডরা। ২০১৯’র শিরোপাজয়ী ফাইনালে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে লিভারপুলের অনটার্গেট শট ছিল তিনটি। এবারের ফাইনালে শুরুর আধাঘণ্টায় প্রতিপক্ষের গোল বরাবর চারটি শট নেন অলরেড তারকারা। ১৫তম মিনিটে ছোট ডি-বক্স থেকে নেয়া মোহাম্মদ সালাহর শট ফেরান রিয়ালের বেলজিক গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ২০তম মিনিটে বড় বিপদ কাটে রিয়ালের। ডি-বক্সের মাথা থেকে সাদিও মানের নেয়া শট কোর্তোয়ার হাতে লেগে বল গোল পোস্টে প্রতিহত হয়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে লিভারপুলের এ নিয়ে সর্বাধিক সাতবার বল প্রতিপক্ষের বারপোস্টে লাগলো। ৩০তম মিনিটে ফের সালাহর শট আটকে দলকে বিপদমুক্ত রাখেন কোর্তোয়া। ৪৩তম মিনিটে লিভারপুলের জাল স্পর্শ করেন রিয়ালের তুখোড় ফর্মের স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় গোল।
ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলবারে ১০টি শট নেয় লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। এর পাঁচটি ছিল অনটার্গেটে। অন্য দিকে রিয়াল তারকাদের শট মাত্রই একটি। তাও ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।