দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্কঃ লকডাউনে রাস্তায় বের হয়ে পরিবহন না পেয়ে বিপদে পড়েন চট্টগ্রাম নগরীর অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম বেগম নামে এক নারী। পরে পুলিশের সহযোগিতায় কোতোয়ালী থানার ওসির গাড়িতে করে ওই অন্ত:সত্বা নারীকে হাসপাতালে নেয়া হয়। গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় এ ঘটনা।
জানা গেছে, হঠাৎ করেই ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কুলসুমা প্রসব বেদনা উঠায় হাসপাতালে নেয়ার জন্য সড়কে গণপরিবহন না পেয়ে অস্থির হয়ে যান স্বামী ওমর ফারুক শান্ত। তাৎক্ষণিক মানবিক পুলিশ টিমের কথা তার স্মরণে আসে। নিকটস্থ কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইলে ফোন করে তার সমস্যার কথা খুলে বলেন।
ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন তার গাড়িতে করেই ওই প্রসূতি নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কোতোয়ালী থানার কর্তব্যরত অফিসার এসআই আফরোজা চৌধুরী ও কনস্টেবল আনিসকে ওসির সরকারি গাড়ি দিয়ে কুলসুমকে চমেক হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। পেশায় দিনমজুর ওমর ফারুক শান্ত ও তার স্ত্রী কুলসুম বেগম যাত্রী ছাউনির নিচে থাকে। চট্টগ্রাম নগরীতে তাদের কোনো আত্মীয় স্বজন নাই৷ করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন বেকার৷ এসময় দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কুলসুমকে নিয়ে ভীষণ বেকায়দায় পড়েন ওমর ফারুক।
ওমর ফারুক শান্ত আরটিভি নিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কঠোর লকডাউনে কোনো গাড়ি না পেয়ে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম। চরম এ বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। তিনি তার নিজের ব্যবহারের সরকারি গাড়িতে করে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন আরটিভি নিউজকে বলেন, দিনমজুর ওমর ফারুকের ফোন পেয়ে তার প্রসূতি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পেরে নিজের কাছেও আনন্দ লাগছে। তিনি বলেন, টিম কোতোয়ালী সার্বক্ষণিক জনগণের সহায়তায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে টিম কোতোয়ালী।