দৈনিক আলাপ বিনোদন ডেস্ক ঃ সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে খুলে গিয়েছিল অন্য এক প্যান্ডোরার বাক্স। বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগ। জেলে থাকতে হয়েছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। এখনও জেলহাজতে তাঁর ভাই শৌভিক-সহ কয়েক জন। সেই সূত্রেই এ বার মাদক কেনার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন টিভি অভিনেত্রী প্রীতিকা চৌহান। রবিবার ভারসোবা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। একই সঙ্গে মাদক কারবারে যুক্ত আরও চার জনও ধরা পড়েছে এনসিবি-র গোয়েন্দাদের হাতে।
কী ভাবে এনসিবি-র জালে পড়লেন ‘সাবধান’, ‘দেবো কে দেব মহাদেব’-এর মতো টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করা প্রীতিকা। এনসিবি সূত্রে খবর, বলিউডের মাদকযোগের তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি মাদক কারবারের মডিউলের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। তেমন একটি কারবারের খবর এসেছিল ভারসোবা থেকেও। সেই সূত্রেই এ দিন সাদা পোশাকে ভারসোবার দু’টি এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যেই প্রীতিকা একটি জায়গায় এক জনের কাছ থেকে মাদক কিনতে আসেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান এনসিবি-র গোয়েন্দাদের হাতে।
এনসিবি-র গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করে প্রীতিকাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তাঁরা। নিজের জন্য মাদক কিনছিলেন প্রীতিকা, নাকি অন্য কারও জন্য, সেই বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। মাদক কারবারে, অর্থাৎ কিনে অন্য কোথাও বিক্রির সঙ্গেও প্রীতিকা যুক্ত কি না, সেই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে আর্থিকযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গোয়েন্দাদের হাতে আসে সুশান্তের বান্ধবী রিয়ার হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট। তাতে রিয়া মাদক নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করছেন, এমন কথোপকথনের তথ্যপ্রমাণ উঠে আসায় তদন্তে নামে এনসিবি। তদন্তে নেমে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, এক কর্মী দীপেশ সবন্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কপূর, সারা আলি খান, রকুল প্রীতের মতো অভিনেত্রীদেরও জেরা করেন গোয়েন্দারা। পরে রিয়া ও দীপেশ জামিন পেলেও এখনও জেলহাজতে রয়েছেন বাকিরা।