দৈনিক আলাপ বিনোদন ডেস্ক: পরকীয়া বিষয়টা মানুষ বিশেষে আলাদা। আমাদের দেশে পরকীয়াকে খারাপ হিসাবে দেখা হয়। আচ্ছা ভালবাসাকে কি পরকীয়া বলা যায়? আমার ধারণা, ভালবাসা যে কোনও দিন যে কোনও সময় যে কারও সঙ্গে হতে পারে। আমার ধারণা, আমাদের দেশে অনেকের এটা হয়। অনেকে সাহস করে বিয়েটা থেকে বেরিয়ে আসে। কেউ পারে না। কেউ সমঝোতা করে নেয়। কেউ সমাজের ভয়ে থেকে যায়। আবার কেউ ভালবাসাটা স্বীকারই করতে চায় না। আমার কাছে নিজের ভাল থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়া চুলোয় যাক। সমাজের ভয়ে গুমরে মরে গেলাম, এর তো কোনও মানে নেই। আমি ঠিক পরকীয়া হিসাবে দেখি না। এই ভাবে তকমা দিয়ে দেওয়া খুব সহজ।
ইশা বলেন আমার এখন মনে হয় কথা বললেও বিতর্ক হবে, না বললেও বিতর্ক হবে। বিনা কারণে খবরের শিরোনামে থাকতে চাই না। ভুল কথা নিয়ে চর্চায় থাকতে চাই না। আর সব সময় আমি উত্তরও দিই না। আজ ইচ্ছা করছে, তাই কথা বলছি। পরের সাক্ষাৎকারে ইচ্ছা না হলে এত কথা বলব না।
কিছু জিনিস ব্যক্তিগত থাকা খুব প্রয়োজন। আমাদের সবটাই এত প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। শেষ কয়েক মাস বা বছর ধরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যা হচ্ছে তাতে আমি খানিকটা বিরক্ত। এত কাজ করছি তা নিয়ে চর্চা যথেষ্ট। অসম্মান করাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। কারও ব্যক্তিগত জীবনকে একটু সম্মান দেওয়াটাই কাম্য। চারদিকে আমায় নিয়ে খুব খারাপ ভাষায় লেখা হয়েছে। তাই এই প্রেমের বিষয় নিয়ে কথা উঠলেই আমি গুটিয়ে যেতাম। মনে হত, এ বার এই প্রসঙ্গ থেকে বেরোতে হবে। সেখান থেকে বেরোনোর উপায় মনে হত এটা।