‘নাভি সুন্দর হতে হবে, চেহারা ভারী হতে হবে’, কোন সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন দক্ষিণী নায়িকা?

19

দৈনিক আলাপ বিনোদন ডেস্ক : বিশেষ করে ভারী চেহারার অভিনেত্রীরাই এই জগতে অগ্রাধিকার পান। তার সঙ্গে দক্ষিণের ছবিতে মহিলাদের নাভি প্রদর্শনের দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়।
দক্ষিণী ছবির জগতের অন্ধকার দিক নিয়ে গত কয়েক দিনে মুখ খুলেছেন বেশ কয়েক জন অভিনেত্রী। এ বার মুখ খুললেন মালবিকা মোহনান। দক্ষিণের ছবির জগতে মহিলাদের চেহারার গড়ন নিয়ে কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে ভারী চেহারার অভিনেত্রীরাই এই জগতে অগ্রাধিকার পান। তার সঙ্গে দক্ষিণের ছবিতে মহিলাদের নাভি প্রদর্শনের দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়।

নিজের অভিজ্ঞতাও জানান মালবিকা। তিনি খুব ক্ষীণাঙ্গী যেমন নন, তেমন পৃথুলাও নন। এ সব কথা বিভিন্ন সহ-অভিনেতার থেকে তাঁকে শুনতে হয়েছে। মালবিকা বলেছেন, “প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতেই মহিলাদের চেহারার গড়ন নিয়ে কিছু ভিন্ন ধারণা রয়েছে। সামান্য ওজন বৃদ্ধির পরে আমি যদি মুম্বই যাই, আমার আপ্তসহায়ক বলবেন, “তোমার ওজন কি বাড়িয়ে ফেলেছ? শরীরচর্চা করছ না?’” কিন্তু চেন্নাইতে উল্টো অভিজ্ঞতা হয়।

মালবিকা বলেন, “একদম টানটান অ্যাবস নিয়ে চেন্নাই গেলে, আমাকে বলা হবে, ‘তুমি তো সব মেদ ঝরিয়ে ফেলেছ। সেই লাবণ্য নেই।’ মহিলাদের দেহের গড়ন নিয়ে সব সময়ে মন্তব্য করা হয়। এক এক সময়ে আমি নিজেই সংশয়ে থাকি। আমার কি ছিপছিপে থাকা উচিত না তি ত্বন্বী থাকা উচিত? তবে এখন আমি এমন জায়গায় পৌঁছেছি, আমার মনে হয় সুস্থ থাকাই সবচেয়ে প্রয়োজন।”

দক্ষিণী ছবির জগতে মহিলাদের নাভি নিয়ে মাতামাতি বেশি। জানান মালবিকা। তিনি বলেন, “আমি আগে খুবই ধন্দে থাকতাম। আমি মুম্বইতে বড় হয়েছি। তাই আমার জন্য এই নাভি নিয়ে মাতামাতির বিষয়টা সম্পূর্ণ নতুন। তার পরে দেখলাম, সমাজমাধ্যমে নায়িকাদের ছবি ‘জ়ুম’ করে নাভি দেখা হয়। নাভি নিয়ে সত্যিই ওদের মাতামাতি রয়েছে। আমি খুব রোগা ছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। ২৫-এর পর থেকে আমার চেহারা কিছুটা ভারী হতে শুরু করে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here