জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর মন্তব্য, মহুয়ার নামে এফআইআর দিল্লিতে

45

দৈনিক আলাপ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারা অনুসারে, মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। এই ধারাতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে আহত মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেখা। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কোনও এক জন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছিল নেট-পাড়া। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন’! এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন।

জাতীয় মহিলা কমিশন মহুয়ার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে এফআইআর দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ মহুয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারা অনুসারে, মহিলাদের মর্যাদাহানি করে এমন ধরনের শব্দ, ইঙ্গিত বা কাজ অপরাধমূলক হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। সেই ধারাতেই কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে শাহ-পুলিশ।

লোকসভায় আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিবিড় সম্পর্ক নিয়ে বরাবর সরব ছিলেন মহুয়া। নির্বাচনের আগে মন্ত্রগুপ্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বেনজির প্রক্রিয়ায় তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তার পরে ফের কৃষ্ণনগর থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন মহুয়া।

বস্তুত, সংসদে ভাল বক্তা হিসাবে সুনাম কুড়োলেও বেলাগাম মন্তব্যের জন্য বারে বারে বিতর্কে জড়িয়েছেন মহুয়া। রেখার বিরুদ্ধে তাঁর এই মন্তব্য অবাঞ্ছিত বলে মনে করছেন অন্য বিরোধী দলের কয়েক জন নেতা। তাঁদের কথায়, অন্য ভাবেও রেখার বিজেপি আনুগত্যের বিষয়টি তুলে ধরা যেত। এতে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here