দৈনিক আলাপ ওয়েবডেস্ক: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে নতুন এ বিমানটি উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।
বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জলকামান স্যাল্যুট জানিয়ে বিমানবন্দর থেকে ড্রিমলাইনারটি গ্রহণ করেন। এর আগে, গত বছরের আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশ বীনা’ ও ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গত জুলাই মাসে তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ ঢাকায় অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনারগুলোর নাম রাখেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং ইতোমধ্যেই চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর ও দুটি ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার বিমানকে হস্তান্তর করেছে।
২৭১ আসনের ‘রাজহংস’ বোয়িং ৭৮৭-৮ কে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানী সাশ্রয়ী বিমান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বিমানটি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারবে।
বিমানটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াইফাই পরিষেবা দেবে। এর ফলে যাত্রীরা আকাশ থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যে কোন স্থানে তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।