দোষটা চশমার
প্রদীপ সেন
দৃশ্যমান জগতে কত কী ঘটছে
দেখেও শান্তি, বুঝেও শান্তি।
তবে শুধু দেখলেই তো হবেনা
দেখার ভেতর ডুব মেরে মেরে
বোঝার তলটাও তো পেতে হবে।
ভাবছি ডাগর দুটি চোখ তো আছেই
দৃশ্যমানতার আঙিনায় ধোঁয়াশাও নেই
দেখবো নিজের চোখ দিয়ে, বুঝবো নিজের মন দিয়ে।
সামনেই একটা ফুলের বাগানে ফুলের সমারোহ,
উপরে এক ফালি আকাশ গাছের মাথায় চরে আছে।
ঘনাদা এসে নাকের উপর একটা লাল চশমা এঁটে দিল
কী আশ্চর্য! আকাশটা লাল দেখি।
আশ্চর্যের আশ্চর্য এখানেই শেষ নয়।
লাল লাল গোলাপ ফুলগুলো যদিও দেখছি লাল
হলুদ গাঁদা, নীল অপরাজিতা, সবুজ পাতা সব কালো!
বললাম, চোখ দুটো নষ্ট করে দিলে, ঘনাদা?
লাল চশমায় লালকে লাল দেখি, বাকি সব কালো!
মনাদা পাশেই ছিল সবুজ কাচের চশমা হাতে।
লাল চশমাটা খুলে সবুজ চশমা চরিয়ে দিয়ে কন
এবার দেখ তো চেয়ে লাল দেখতে পাস কি না।
আশ্চর্য! গোলাপ, গাঁদা, অপরাজিতা -সব কালো দেখি।
অবশ্য সান্ত্বনা একটাই, সবুজকে সবুজই দেখি।
কেন এমনটা হয়? চিৎকার করে বলি।
জনাদা মানে জনার্দনদা এগিয়ে এলেন।
রঙিন চশমাটা টেনে খুলে রঙহীন চশমাটা চাপালেন।
এতোক্ষণে বর্ণান্ধতা রোগটা সারলো মনে হলো
সবকিছু দেখছি যার যেমন রঙ, সেইভাবে।
হেসে কন জনাদা, যত নষ্টের মূল রঙিন চশমা, বুঝলি?