হারানো শৈশব
শংকরী সাহা
পুতুল খেলার সেই দিনগুলো
কোথায় কেমন করে হারিয়ে গেলো।
বুঝতে পারিনি——-
সেদিনগুলো ছিলো বড় ভালো ছিলো না কোন ভাবনা…..
দিন যায় দিন আসে জীবনে অনেক ভাবনা আসে,
ভাবনার মাঝে কর্মের মাঝে হারিয়ে যায়….
জীবনের ভালো লাগার দিনগুলো ———
ভালোলাগা সুখের দিনগুলোর
সময় খুব অল্প দেখতে দেখতে চলে যায়
জীবন হতে আগামীর পথে।
আজ জীবনের এই সীমানায় এসে মনে হয়…..!
বড় ভালো ছিলো শৈশবের সেই দিনগুলো।
মনে হয় যদি ফিরে পাতাম সেই দিনগুলো
চলে যেতাম সেই মধুমতী নদীর তীরে—
কাটবো সাঁতার সাথীদের নিয়ে
আগের মতো করে,
সাঁতার ঠিকই কাটা যায় পাওয়া যায় কি হারানো শৈশব..!!
যেখানে ছিলো সুখের হাওয়া মন মাতানো দিন……
আছে ভালোবাসার ঋণ—-
ছিলো মুক্ত বাতাস সুখের প্রভাত……!!
পাখির কলরবে মুখরিত চারিধার
হালকা রোদের ছায়ায় ফুলের ঘ্রাণে
মন হারিয়ে যেতো পাখির কলতানে।
ঘুম থেকে উঠে দেখতাম
সূর্য এসে ঘরের দুয়ারে
চারিদিকে হৈচৈ পরে গেছে সারা বাড়ি জুড়ে।
আমিও হারিয়ে যেতাম সাথীদের ভীরে……..!!
যে যার কাজে মত্ত নেই কারো
কোণ সত্ত,
বাবা ডেকে বলতো এখন লেখাপড়া করতো
এমন সুখের দিন যায় না ফিরে আর পাওয়া……!
যেদিন যায় চলে আসে না আর ফিরে,
স্মৃতি হয়ে থেকে যায় মনের গভীরে…..
শৈশবের সোনালি বিকেল আর পাবোনা খুঁজে কোনদিন।
তবুও উকি মারে মাঝে মাঝে হৃদয়ের গভীরে ——-
সেই কোমল ছায়া শান্ত স্নিগ্ধ সোনালি বিকেলে করেছি কতো খেলা
সব সাথীরা মিলে,
খেলার মাঠে ছিলো মনোরম
পরিবেশ
কতো আনন্দে মুহুর্ত গুলো যেতো কেটে।
বাড়ির আঙিনায় জড়ো হতো
কিশোর দলেদলে
তাদের কাছে আমিও যেতাম চলে,
খুশির জোয়ারে ভেসে যেতো সকলে মিলে,
আনন্দের ঢেউ খেলতো শুকনো নদীর চড়ে,,,
স্বর্গীয় সুখ নেমে আসতো আঙিনা জুড়ে,
সেই সুখ স্মৃতি আছে আমার অন্তরীণ অন্তরে।