‘শুভঙ্কর বন্ধু আমার ‘
মাহবুবা আখতার
শুভঙ্কর বন্ধু আমার,
শুভঙ্কর,শুধু তোমার জন্য আমি আছি নিষিদ্ধ পাহাড় আগলিয়ে,
জঙ্গলের অরণ্য পাশকাটিয়ে চোরাপথে তোমার কাছে পৌঁছে যাবো বলে।
নিশানা রেখেছি যতটুকু দৃষ্টি যায় আমার গন্তব্যের,
পূর্ণিমার ভরা বসন্তে অমাবস্যার জলে দারুণ দাবদাহ,
পুড়ে গিয়েছে টাঙ্গনের ভরা যৌবন।
টানে না আর যৈবতীর শারীরবৃত্তের রসায়ন, শীর্ণকায়
পান্ডুরতার বেনোজলে মহাপ্রলয়।
কতোটুকু উচ্ছ্বাস গভীরতা পায় জানিনা, শুভঙ্কর।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে শ্বাস নিই তোমার অস্তিত্ব ছুঁয়ে,আরো
কিছু সময় বেঁচে থাকার ভয়ংকর আকুলতায়।
মৃত্যুর পরে মৃত্যু,অন্তিম শয়ান বিভৎসতার বিলাপ বিলাস———
হায়!জীবন
শুভঙ্কর বন্ধু আমার,
শুধু তোমার জন্য চোখের জল ছাপে স্বপ্ন বুনি,
হাতের মুঠোয় জীবন পুরে প্রার্থনায় থাকি তোমার অবহেলায়,
অনাদরে আরো কিছু সময় বেঁচে থাকি এই প্রত্যাশায়।
অহর্নিশ তুমি মুখ ফিরিয়ে রাখো,আমার সমূহ আয়োজন ক্রমে ফসিল বৃক্ষ হয়
দারুচিনি দ্বীপে প্রবালের শরীরের ভাঁজে ভাঁজে নীলপদ্মের পোড়া গন্ধ,
অশরীরী বাৎসায়ন ফিসফিস শীৎকারে আকাশ ভেঙে ঝড় নামায়।
ছেঁড়া স্মৃতির মায়াজালে পুঁতে রাখি দুর্বিষহ জাদুর পেরেক,
নতজানু প্রার্থনায় তুমি আরাধ্য আমার,তবুও তোমাকে চাই,শুধু তোমাকেই,
যদিও এখন আমার দারুণ বিপণ্নকাল। কোন ঋণ আর
থাকেনা শুভঙ্কর।
ঠাকুরগাঁও।