“ঈশ্বর কণা-৯ ” কবিতা কোলাজ লিখেছেন ওপার বাংলার কবি ও লেখক অ ল ক জা না।

698
“ঈশ্বর কণা-৯ ” কবিতা কোলাজ লিখেছেন ওপার বাংলার কবি ও লেখক অ ল ক জা না।

ঈশ্বরকণা—৯

            অ ল ক জা না


নাছোড়বান্দা
তিক্ততারও সীমা থাকে

সর্বশেষ পরমায়ু
খরচের পরও
চোখ দুটো আকাশের দিকে

করাতকলে আসা গুঁড়িতেও
দেখা যায়
প্রবল অরণ্যের শিহরণ।
——————-২————–
কৃপণতায়
কী সঞ্চয় করো ?

অসময়ে সাজানো
যদিও পরমান্ন
অধিকতর বঞ্চনারই
একটা অবান্তর অসুখ।
—————৩—————-
চোখের সঙ্গে মনের বিরোধ
একটি ঘরেই লালিত
যে যার মতোই অসহিষ্ণু।

আমরণ এই প্রক্রিয়া
শরীরের নিয়মেই
হাঁটতে থাকে একটা রাষ্ট্র
—————–৪—————
ভেবে চাইতে হয়

যে মাপের হাত
যে মাপের পা

বেমাপেই যত অশান্তি
বড়োবেশি
অগ্নিগর্ভ জীবন।
—————৫—————-
দহন বয়ে বেড়ানোর চেয়ে
স্বীকারেই ছিল
সমুদ্রোধিক শান্তি

প্রতিটি স্রোতের কাছে থাকে
লক্ষ্যের ছাড়পত্র

তোমাকেই ভালোবাসি
প্রিয় এই অনুক্ত মন্ত্র
আমার কবিতা পারাবত।
—————-৬——————
লুঠ হয়ে গেছে
জীবন যৌবন
গয়না টাকা

কেবল মুখের লালায়
বেঁচে থাকে
ছেলেমানুষির সাতকাহন।
—————-৭——————
এত আনন্দ
এত বিষাদ

মাঝে জেগে ওঠে
একটা বিরতি, শাশ্বত নিয়ম

নিষ্প্রাণ পাহাড়ের
সন্ধি থেকে ঝর্ণা গান
চাঁদে কলঙ্করেখা।
—————-৮——————–
যেখানে পড়ে থাকে ছাই
যেখানে ঘৃণা

আমার জন্য ভালোবাসা
বাড়ন্ত হলে
না হয় সেই ছাই-ঘৃণার বিপন্নতা
আমার ওপর বর্ষিত হোক !
——————৯———————-
আতঙ্ক
সামনে
পেছনেও

বুদ্ধিভ্রম
চোখে ভাসে
মৃত্যুর কঙ্কাল।
—————১০—————-
পরমায়ুর
শেষ কটা দিনের
আকাশ বিষণ্ণই থাকে

বিনা মেঘে বজ্রপাত
সর্বাধিক পুড়ে দেয়
স্বজন অন্তর।
—————১১——————–
একা থাকা
যায়না যে !

সারাদিন
অধরাই কাটে—-

বিছানায়
অবাধ উপস্হিতি
এক স্ত্রীলোক

রাত্রি পরকীয়া।
——————১২——————-
উপেক্ষা জানে
বিচ্ছেদের মহৌষধ

উপেক্ষা জানেনা
চন্দ্রগ্রহণ।
—————–১৩——————
বৃষ্টি বিদ্যুতের
বিষাদ নিমেষে মুছে
কেমন অমলিন আকাশ

ততখানি বিপন্নতা
বয়ে বেড়িয়ে
মানুষ পারেনা হতে
অসীম উদার।
——————১৪——————
নিরসন মানেই
আর একটি
অসহ্যের জন্য তৈরি
জীবন

স্রোতের মর্ম কি বোঝে
স্হির জলাশয় ?
————–১৫—————-
আমি পারিনি
তুমি পেরেছো

অহংকার আমারও
কিছু কম না
কারণ মানুষই পারে !
—————-১৬—————
কৃষ্ণ বাঁশির সুর
ভোরের আজান

একাকারের বাতাস
বয়ে আনে
ফুসফুস ভর্তি
প্রাণের স্পন্দন।
—————১৭—————
ক্রমা সোম
যার জন্য
এত সজ্ঞান সতর্কতা

মূলধন সেই
আবদারেই
অপেক্ষা শেখায়
প্রিয় শত্তুর একটা !

অকৃপণ লিখিয়ে নেয়
এক পৃথিবী নিরাময় ভোর।
—————–১৮———————
রুমালে লেগেই থাকল
রমণের আঠা
আর কি বা ছিল ?

প্রথম যাপনের সাক্ষী
চিরদিন মাটি প্রাপ্ত
হয় অসহায় রুমাল।
————————————–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here