কথোপকথন—৩
কোনো রাস্তা নেই
—সবকিছু ঠিকঠাক। ঠিকঠাক সবকিছু। গোছানো ঘরদোর। পরিপাটি পোশাক। চোখে কাজল। ঠোঁটে লিপস্টিক। সকলের চোখে আমি রাজরানী। মাঝে মাঝে আমারও ভ্রম হয় খুব ভালো আছি বুঝি !
—ভোলোই তো আছ! স্বর্ণচাপায় ভরে আছে উঠোন। ঘরের চালে অসংখ্য কুঞ্জলতার সোহাগী আল্পনা। দখিনের জানলায় জোছনার লুকোচুরি।
— ঠিকই দেখেছ প্রিয়। তোমার চোখে সুখ নামুক।
— আমার উঠোনের ছড়ানো ভাত খেয়ে যায় শালিক। আমার বেগুন গাছে বাসা বাঁধে টুনটুনি। কাঠবেড়ালিরা এসে আমার হাত থেকে খেয়ে যায় ছোলা।
— কেন, কেন?
— এখনো কি বোঝোনি? তারা আমায় ভালোবাসে। আমার চোখের জলে তারা ভাসে। তারা আমার সুখে হাসে, দুঃখে ভাসে, ভালোবাসে, তাই কাছে আসে। তুমি কি আমায় কোনোদিনও ভালোবেসেছিলে নীলাঞ্জন ?
—এতদিন পর এমন প্রশ্ন কেন মিষ্টি?
— তবে কেন বোঝো না?
— তোমার জীবনের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠা আমি পড়েছি, বারবার পড়েছি । চোখের জলে ভিজিয়েছি তাদের অসংখ্যবার… আমি কষ্ট পাই জানলে তোমার কষ্ট হবে জেনে না বোঝার ভান করি। আর যে কোনো রাস্তা নেই সই….! সামনে পিছনে ডাইনে বাঁয়ে কেবল জল আর জল , জল অথই।
——মনীষা কর বাগচী—
Thank you so much 🙏