“এক বুক কষ্ট”
রীতা ধর
আজ ভোরে শ্রাবণের এক পশলা
বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে গেলো কদমের ডাল
কাল ভোরে হয়তো কলি আসবে
শাখায় শাখায়, তারপর ফুল।
তারপর,কোন এক তরুণ
নবালোকের নব আনন্দ নিয়ে
হয়তো তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে
ছুটে যাবে কদমের নির্যাস হাতে,
ভালোবাসাকে জীবনের চরম ঐশ্বর্য ভেবে
সযতনে তার প্রিয়তমার কাছে
নিবেদন করবে একটি কবিতার অর্ঘ্য।
তারপর! হয়তো যথারীতি হবে প্রত্যাখ্যান!
ঠিক ঐখানে পরে থাকা অসংখ্য
হৃদয়ের ভাঙ্গা টুকরোর মতো,
যতটা মেঘের গর্জনে আদিগন্ত ভেদ করে
বেরিয়ে আসে আগুনের স্ফুলিঙ্গ,
তার চেয়েও অধিক বিস্তৃতিতে
সে তরুণ হৃদয়ের আর্তনাদ
প্রকম্পিত হবে বসুধার বুকে।
মুহুর্তে বিলুপ্ত হবে ভালোবাসার পরম বিশ্বাস
কেঁপে উঠবে থর থর স্বর্গ,মর্ত্য,পাতাল।
তারপর একদিন আবার শান্ত
সুশোভিত ধরনী তল।
অস্তগামী ঐ সূর্যটা গোধূলির আবিরে
ঠিক ঢেকে দিয়ে যাবে
ভাঙ্গা হৃদয়ের প্রাজ্ঞবিষাদ,
তখন ভাঙ্গা একটি হৃদয় ধীরে ধীরে হয়তো
আবার প্রাঞ্জল হয়ে উঠবে আকণ্ঠ প্রেম পিয়াসায়,
যে পিপাসায় সহস্র যোজন
পথ পরিক্রমায়ও নদী এসে
মিশে সাগর সঙ্গমে,
যে পিপাসার টানে মেঘ হতে অঝোরে
বৃষ্টি নামে মাটির বুকে,
আর তখনই ভালোবাসার পবিত্র ধারায় উদ্ভাসিত হবে হয়তো সে হৃদয়,
যে হৃদয়ের মুখরিত উল্লাসে সৃষ্টি হয়
হাজারটা কবিতা,ভালোবাসার কবিতা।
এমনি করেই ভালোবাসা কুসুমের মতো প্রস্ফুটিত হয় হৃদয় থেকে হৃদয়ে,
শুধু সে ভালোবাসার নাম হয়
‘এক বুক কষ্ট’।