প্রিয় নিরন্তর
রীতা ধর
হোক না সে মিথ্যে প্রবোধ,,,
দ্যুতিময় বিলাসে আমিও তো ছিলাম পাশাপাশি,
ঝুলন অভিসারী মন ইন্দ্রপুরীর অপ্সরার পায়ে বেঁধেছিলে যেদিন শ্রাবণী নিক্কণ,
আমারও নেচেছিল মন সাথে সাথে ;
গেয়েছিল গান বর্ষার চপল প্রেম।
হোক সে মিথ্যা প্রবোধ,,,
মল্লিকা বনে আমিও দুলেছিলাম অভিসারে,দু’হাতের শূন্যতা নিয়ে,
আকাশের বুকভরা জলের আদর
আমার পরাজিত ললাটের শ্রাবন্তী আলোয়
হীরের মতো আলোময় যেন
তপ্ত দুপুরের নিরব কান্না হঠাৎ হঠাৎ
বানভাসি হয়,
তৃষ্ণার্ত ঘুঘু ক্লান্তির ছাপ মুছে নেয় যেমন বৃষ্টিস্নাত পাতার সজীবতায়,
তেমনি মায়া হরিণীর মতো একবার চোখে চোখ হারাতে যদি কাজল দর্পনে
তোমাতেই শুভদৃষ্টি হতো রূপঙ্কর,,,
তৃষিত দৃষ্টির দু’ধারে হলুদ সবুজে মিশে কিভাবে যে ফোটে এক বেদনাহত বর্ষার
প্রিয় কদম! কিভাবে যে কবিতার শতদলে গহীনের আষাঢ়কাব্য বয়ে যায়
বহতা এক নদীর মতো!
তারি জলেই তো নির্ঝরিণী হই নিত্য শৃঙ্গারে,,,
একবার চোখ হারালে চোখে, কাজল আষাঢ় ঝরিয়ে দিত সুখদর্শন পাঁপড়ি।
হোক সে মিথ্যে প্রবোধ,,,
আমার আষাঢ় জমিনে এখনও বর্ষার ঢল
নোনা ধারায় চুপসে যায় আবাদি ফসল।
আষাঢ়ী পূর্ণিমায় বর্ষার প্রথম জলধারায়
তোমার ময়ুরপঙখী চোখের আলাপনে যে বর্ণিল রঙধনু ভেসে ওঠে,
সে সাতরঙ আমার নয়,
সে অন্যকারো প্রিয়নাম,,,
তবুও হে অনন্ত দর্শনের আষাঢ় তুমিই আমার
প্রিয় নিরন্তর,,,