আবার ফিরে আসা —-
উৎপল বাগ
দীর্ঘদিনের পরিশ্রম কত বিপুল আয়োজন
মুহূর্তেই ম্লান নিষ্প্রদীপ নিকষ অন্ধকারে !
ইতিউতি জোনাকির দীর্ঘশ্বাস
ভাবনার ভাগাড়ে ইঁদরের উৎপাত —
ভাঁড়ারের চাবি কোথায় যে রাখা
আবার হেঁশেলের গন্ধ গায়ে মেখে
যন্ত্র সভ্যতায় পা মেপে ফেলা ,
কত আলো কত আলো রাজপথ জুড়ে
আজ সবই অন্ধকারে গেছে ডুবে ।
গতকালও এই পথ ধরে কত মানুষ দলে দলে
আজ শুধু শূন্যতার ধুলো ঝড়ে
রাতকানা গোধূলির নিঝুম সন্ধ্যায়
ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গিয়েছে দোকানের সারি।
রাত জাগা আলাপ-আলোচনা , সুখ দুঃখের ব্যস্ততা
কোন ম্যাজিশিয়ানের স্পর্শে মিলিয়ে গেছে আসমানী আকাশে।
পারফিউমের খালি শিশি , রঙচটা লিপিস্টিকের পলেস্তারা
ঘামে ভেজা নতুন জামাকাপড় শাড়ি-ব্লাউজ
ঘরের একয়কোণে ডাঁই করে ফেলা ,
খাবারের ফয়েলস্ গুলো এখনো পচছে ডাস্টবিনে
ইনবক্সে শিউলি গুলো ডিলিট করে
পদ্ম ফুলের হাসি গুলো মিলিয়ে গেছে সাতসকালে !
আবার হাই তোলার সকালে হাই হ্যালো
তাগাদা দেওয়া ফোনের রিংটনে বিরক্তির সুর ,
ভিআইপি টিআইপি সামলানোর ঝক্কি
কর্মহীন ব্যস্ততাহীন সারিবদ্ধ ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি
শুধু মহাকাব্যিক অপেক্ষায় —
আগামী দিনের পালতোলা আশায়
নদীর জলে ভাসছে শোলা , ভাসছে আধপচা পদ্মফুল
কত দামে যেন বিক্রি হয়েছিল অতশত মনে নেই।
হিসেব-নিকেশ কেনাবেচা যেটুকু যা ছিল বাকি
আজ সবই গেছে জলের দরে —
শুধু রয়ে গেছে চূর্ণ বিচূর্ণ স্মৃতি !
কত আয়োজন কত পরিশ্রম মুহূর্তে জলাঞ্জলি