বহুরূপী নীল
– তাইম শেখ
নিদারুন কত কষ্টে চলেযায় আমার দিন রাত্রি, তোমাকে হারানোর বেদনায় এমন ছুঁয়েযায় একাকিত্ব।
বিভর মগ্নে আমি যেন দশদশকের এক চাতক পাখি, চেতনার জগতে শুধু অস্পষ্ট তোমার স্মৃতি, আমার জানালায় আজও দেয় উকি।
আঘাতের চিহ্নভরা মনের পর্দায় বারবার দোলা দেয় দখিনা বেহায়া বাতাস,নরম কাশফুল ছুঁয়ে নদীপেরিয়ে দরজায় কড়ানাড়ে নীল কষ্টগুলো, আমি লজ্জায় অভিমানে ফুপিয়ে ঘরের কণে বসে কাদি।
একসময় চলেযায় নীল কষ্টগুলো, বলেযায় ঘাড়ফিরিয়ে, আমি আসব আবার তোরই দরজায় প্রতিনিয়ত।
অনাকাঙ্খিত ভাবনাগুলো রাতের আধারে জোনাকির আলোর পথধরে পরিচিত হয় প্রতিরাতে।
পুরাতন দিঘিতে ফুটেথাকা লাল পদ্মের মাঝেও বেদনার নীল নিয়ে কেমনকরে যেন ফুটে কিছু নীল পদ্ম।
শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় চরে আসে কিছু নীল, নীলে নীলে একাকার করে দেয় সাদা আকাশটার বুক।
যেন তার শৈশবের ক্রোধ, এখন যৌবনে করছে তাই কষ্টের নীল চাষ।
তোমাকে নাবলতে পারা কথাগুলো
নিয়ে লিখি হাজারও কবিতা। ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখি, এতো তুমি নীল সবিতা।
হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে মেতে ওঠে আমাকে দেখানো তোমার মায়াবী স্বপ্ন, কি পেলাম? কি হারালাম? খুলেবসি তখন জীবনের ডাইরি, প্রতিটা পাতায় নীল কালিতে লেখা আমার পরাজয়, কোন কালিতেই পারিনা মুছেদিতে সে লেখার দাগ।