প্রেম তখন ও ছিল।।
কেয়া সরকার গুহ রায়
সাদামাটা মেয়েটা দেখে নি তাকিয়ে কখনো আয়নায়।
চোখে পরে নি দু ভুরুর মাঝে
ছোট্ট একটা টিপ কত সুন্দর
নিটোল করে সাজায় এলোমেলো মুখ টাকে।
সেই কবে কাঁটাতার পেরিয়ে
চালচুলা ধোঁয়া ধুলো, ঘষামাজার
সংসার। ছোট্ট তেই জীবন শুরু।
জীবন যখন জানতো না জীবনের দ্বায়।
হয়তো বসন্ত এসেছিল, হয়তো
প্রেম ও দুয়ারে দাঁড়িয়েছে বহুবার
প্রতিক্ষায়।
খেয়াল করে নি নিকষা যৌবনা।
সময়ের দুর্বিপাকে ছুটেছে বেগবতী যৌবন তুচ্ছ করে।
বসন্ত তখন ঝুলছে ঘরের ছিকায়।
আজ পড়ন্ত বেলা,সূর্য যখন
মধ্য গগনে, চুলের ফাঁকে রূপালি
তারের বিলি।
ফিরতি পথে হাঁটতে চায়। সেদিন
ছিল শীতের শেষ আর গরমের
আগন্তিকা।হঠাৎ যেন আকাশ
বাতাস বিদীর্ণ করা কোকিলের
হাহাকার।।
শেষ স্টেশনে কাগজের বদলে
হাতের তালুতে লিখে দিয়েছিল
তাঁর ঠিকানা।
আজও পুরানো তরঙ্গে খুঁজে
পাওয়া যাবে হলদেটে রঙচটা
চিঠি।
ভিক্টোরিয়ার ফাস্ট গেট।
ক্যাথিড্রাল চার্চের ঘড়িতে তখন বিকেল চারটে।
বড্ড দেরি হয়ে গেছে। সময় পেরিয়ে সিঁথিতে তখন পরিপাটি
সুড়কির রঙ।
প্রেম তখনও ছিল কৃষ্ণচূড়ার শাখায়।।
আজও আছে শরৎবাবুর নিষিদ্ধ গল্পের পাতায়।
তবে আছে,, থাকবেও...