পর্দার ওপারে
“”””””””””””
বিজিত গোস্বামী
নাকচাবির গন্ধে পাগল হওয়া সহজ
কালো রাত্তির নেশাখোর সমাজ হুমড়ি খেয়ে ওখানেই ছুটে এখানে ইজ্জত বিক্রির চরা দামে হাট বসে
এসরাজের বেহাগ সুরে মাতাল হয় নূপুর কিঙ্কিনী।
সম্ভ্রান্ত বংশ পরিচয় এসব আজ ঠুনকো—
পকেটের টাকা খরচ করার মহান যজ্ঞ এমন আধটু হয়
লাজলজ্জা এখানে মৃত; রঙিন সুরাপাত্রে মশগুল সমাজ পুঙ্গপ
কি যায় ওদের! ওরা দেখেনি ঘানি টানার দিন
ধনীর চাকায় পিষ্ট মানুষের লাশ— বেওয়ারিশ পড়ে থাকতে?
ওরা চায় দেহ—একটা আস্তো দেহ
যার ভেতর মজ্জার রসে জেগে উঠে ধর্ষক।
সমাজ নাকি পরিবর্তনশীল—-
ভাল খারাপের সহবাস, প্রসব বেদনার কোন মূল্য নেই!
ছিঃ সমাজ, তোমার গালে সজোরে থাপ্পড় যদি মারা যেতো
যদি পর্দার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা নারী গর্জে উঠতো, বলতো স্বগর্বে
আমি পন্য নই,আমি ইজ্জত বিক্রির হাটে দামী পসরা নই
আমি তোমার মা বোন জায়া কন্যা,আর সবচেয়ে বড়ো—
আমি যে সন্তান।
এবার থামার পালা—
পর্দার ভেতরে অবলীলায় ঢুকে যাওয়া পৈশাচিক তান্ডব
থামবে তো?
প্রশ্নটা আমার আপনার সবার—
সমাজের গুনপোকা সহজে মরবেনা,ওরা বাঁচে যতদিন সমাজ আছে
পর্দাটা সরিয়ে নেওয়ার শক্তি যেদিন অস্ত্র হাতে নেবে
রঙের হোলিতে পরাজিত চামর চিকুর শতেক রাক্ষস
সেদিন না হয় গান হোক বিজয়ের,পর্দা হোক উন্মুক্ত।