এক টুকরো কবিতা ।
রত্নপ্রভা গাঙ্গুলী।
*************************
কলমের কালি ফুরিয়ে গেছে আর বাকি টা,
কি ছিল শেষ কলমে লাইন টায়।
অধরা কাগজের পাতা টা গেল বাউলি বাতাসে উড়ে,
অসমাপ্ত লেখনী তে ফুটে ছিল ফুল ভোরে।
পাখি রা ডানায় মেলে সুরে সুরে ছিল উড়ে,
লাল আবীর মেখে আসে নি ফিরে নীড়ে।
কবিতার পংক্তিতে পান কড়ি ডুবজলে ছিল,
লিখা হয় নি কখন বৃষ্টি এসে খেলে
ফিরে গেল।
একদিন শ্রাবণী দু হাটু জলে ছলাত্ ছলাত্ ছলে,
ভেসে ভেসে নাউ নিয়ে এলো পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা জলে ।
সাগর কুল তা থৈ তাথৈ নৃত্যের তালেগোলে ,
একা টি নয় সাথি স্রোতে শুভ্র তা আঁচলে ।
ডুবন্ত রবির আবছায়ায় খুঁজে ছিলাম পাতাটা,
সাঁঝ বাতির আলেয়ায় ডেকে বলল
কে যেন-এই মেয়েটা-
কি নিচ্ছ খুঁজে এই আঁধার দিশা পথে,
দেখে যা আমাদের আঁচলে কত জল এনেছি বেঁধে।
পথের বাঁকে পেলাম এই কাগজ পাতা,
পাখি ফুল পাহাড় সাগরের আধ ফোটা কথা।
রাতের আঁধার কেটে রবি যখন ঝরাবে সিঁদুর আভা,
দেখে নিস ভরে গেছে পাতায় তোর লিখা এক টুকরো কবিতায়।