“আতঙ্কিত একটি রাত”লিখেছেন কবি ও লেখক সৈয়দা কামরুন নাহার শিল্পী ।

385

আতঙ্কিত একটি রাত

                                  সৈয়দা কামরুন নাহার শিল্পী

প্রহরের ঘন্টা বাজবার আগেই সব শেষ–
পৃথিবীর অক্সিজেন টুকু স্বাভাবিকভাবে নিতে দিল না
ওরা– ওরা কারা জানো না? ওরাই তো!

সজ্জিত আসবাবপত্র নববধূর হাতের মেহেদি এমনি আরো আরো প্রিয় জন
আতঙ্কিত এলোমেলো ক্ষণিকের জন্য হলেও সে যেন দীর্ঘ সময়–
রক্তের প্রবাহ ধারা রাতের আকাশ ভারী থেকে ভারি হতে থাকলো।

বুলেটে বুলেটে ক্ষতবিক্ষত সমস্ত বাড়ি–
চিরকালের মতো ঘুমিয়ে দিল শান্ত করে দিল।
বেদনার দীক্ষা নিল বক্ষে ধারণ করে এ বাংলার আপামর জনসাধারণ।

ওই নিষ্পাপ শিশুটিকে ওরা ছেড়ে দিলো না!
কী দুঃখজনক জীবনের শেষ বেলার শেষ কথা শেষ দেখা
মায়ের বুকে ফিরে যাওয়ার আকুতি কে একটা বুলেট
যথেষ্ট সেই রাত–
না জানা আরো কত যে ষড়যন্ত্র
শেখ রাসেল শেখ রাসেল মনে হয় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর বাড়িতে মায়ের আর্তনাদ ভেসে বেড়াচ্ছে–

রাত্রির আঁধার কত কথা বলে নিরবে একটি রাতের উপখ্যান
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় আকাশ বাতাস
সেই লেকটি এখনো সাক্ষী হয়ে আছে

কতটা পশুর রাজ্যে মানুষের বাস–
ভালোবাসার বিশ্বাস মানুষকে এতটাই ঠকিয়ে দিতে পারে!
তাইতো বিশ্বাসঘাতকতা করলো নতুন করে সৃষ্টি হয়েছিল মীরজাফর জগৎশেঠ রাজবল্লভ!!!

জাতির জনকের বিশ্বাস
রক্তে রক্তাক্ত হয়ে সিঁড়িতে লুটিয়ে পরল
মধ্যরাত অতিশয় আতঙ্কের আজও আমাদের হৃদয়ে নীরবে অশ্রু ঝরে।
ঘড়ির শব্দের মত বুকের ভেতর কাল রাত্রির আতঙ্কে আজও বুকের ভেতর টিপ টিপ টির শব্দ শুনতে পাই।।

শত রহস্যের অন্তরালে চিরদিনের অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো একটি পরিবার সপরিবারে অযাচিত অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে!!

সেই সব সেইসব ব্যথাতুর মুখশ্রী গুলো বুকে ব্যথা বেদনা ধারণ করে চলতে থাকলো প্রতিবাদে সামনাসামনি দেশমাতৃকাকে বাঁচাতে
বাবার ত্যাগ ভালোবাসা শ্রম জেলের আবদ্ধ জীবন সব সবকিছু
সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিনমজুর আপামর জনসাধারণের আশার আলো হাতে করে এখনো যিনি অপেক্ষা করছেন ভাবছেন এ জাতির মঙ্গল কামনা।

মায়ের প্রেরণা সযত্নে মাথায় তুলে রেখে দিনে দিনে নিজেকে উৎসর্গ করতে থাকেন মানস কন্যাকে
যদি কষ্টিপাথরে যাচাই করে কিছু পায় সেখানে পাব বঙ্গবন্ধুর
সকল ইচ্ছা এ দেশকে নিয়ে আর পাব বেগম ফজিলাতুন্নেসার মায়ের দূরদর্শিতা
প্রেরণার আলোকে আলোকিত বাংলার স্বাধীনতা।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here