ডিখিরির সাজ
শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যি
ছোট্ট মেয়ে,বাবার রাজকণ্যে, সবার নয়নের মণি,
ছেলে মেয়েতে, জাতপাতে কোনো কিছুতেই আড়ষ্টতা শেখেনি সেই মেয়ে,
জীবন টা ছিল জোৎস্না রাতের স্রোতস্বিনী নদীর মত,
আকাশ ছোঁবে বলে সেই মেয়ে বাড়িয়েছিল তার হাত,
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বপ্নগুলো দিল না তার সাথ।
হঠাৎ ই গল্পের এক অধ্যায়ে , চলার পথটা গেল বেঁকে,
শ্বশুর বাড়ির জলছোঁয়ায় পথ চলে মেয়ে সাবধানে মেপে মেপে।
নিয়ম কানুন না জানা সেই মেয়ে বাঁধা পড়ল শিকলে,
জানল প্রথম ,মেয়ে হলে অনেক কিছুই যায় না করা, অপেক্ষার মানে,
একা বাইরে যেতে নেই, দাপুটে মেয়ে হয়ে গেল নিষ্কর্মা,
লোকের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া মেয়ে ,শিখল হাড়ি পাতিলের সখ্যতা।
ভুলে গেল পাখির মত উড়তে,গান গাইতে, ময়ুরের মত নাচতে।
আজ অস্তাচলে দিগন্ত রেখার পাড়ে দাঁড়িয়ে সেই মেয়ে,
আত্মজদের প্রতিষ্ঠিত করেও, আপন ভীত খুঁজে ফেরে।
খুঁজে ফেরে আমার আমিকে, একটু খানি ভালোবাসার আঁচ,
তার জীবনের পরতে পরতে রাজকন্যা থেকে ভিখিরি হবার সাজ।