ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বাজার সংলগ্ন প্রাণ কেন্দ্র হওয়ার পরেও অবহেলিত মহল্ল¬া হচ্ছে আমবগান। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই খেলার মাঠ, রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। বাড়িতে পানি ঢুকে ঘরে থাকা আসবাব পত্র নষ্ট হয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা মনে করেন পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরদের অবহেলায় এমনটা হয়ে থাকে। বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে ভোরের বৃষ্টিতেই শহরের আমবাগান কলোনীর রাস্তা-ঘাট বৃষ্টির পানিতে এভাবে তলিয়ে গেছে। নোংরা পানি পেরিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে যেতে হয়েছে শত শত মুসল্লীকে। আজ বিশ^ পরিবেশ দিবস, আর বিশ^ পরিবেশ দিবসের দিনে পরিবেশের এমন অবস্থা বিরাজ করছে। রাস্তায় বৃষ্টির পানির কারণে ছেলে-মেয়েরা নতুন পোষাক পড়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি।
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তা দেখে মনে হবে এটি একটি জলাশয় কিংবা দিঘি। পানি অপসারনের ব্যবস্থা না থাকায় পৌরসভার উদাসিনতায় সামান্য বৃষ্টিতে তা তলিয়ে যায়। তখন এভাবে পরিহিত কাপড় গুটিয়ে হাটতে হয় জনসাধারনকে।
আমবাগানের স্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস সামাদ, সাকিবুল হাসান, হাসিনা খাতুন, জাহানারা বেগম, সাহাব উদ্দিন ও মেহেদি হাসান বলেন, ঘন বসতি হওয়ার কারণে এই এলাকায় পৌরকর বেশি আদায় হয়ে থাকে। আমবাগানের প্রায় প্রতিটি বাড়ির পৌরকর পরিশোধ রয়েছে। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করার পরেও আমরা পৌর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এলাকার রাস্তার ইট তুলে মাটি কিংবা বালু দিয়ে উচু করে দেওয়ার জন্য বারং বার তাগিদ দেওয়া হলেও কাজে লাগেনি। আমাদের এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা-ঘাট, খেলার মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। নিয়মিত ডাষ্টবিনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় দূগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নাক-মুখ হাত দিয়ে চেপে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টির পানিতে খোলা ডাষ্টবিনের ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ভাসতে থাকে। প্রায় দিন রাতের বেলায় আমবাগানের পৌর লাইট পোষ্টের লাইট গুলো জ্বলে না। বর্ষার দিনে রাতের বেলায় এলাকাবাসির চলাচলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে আমবাগানবাসি পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সু-নজর কামনা করছেন।